‘আর্ন্তজাতিক পরমানু সপ্তাহ’ উদযাপনে মস্কো যাচ্ছেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি
সমকাল ও এনটিভির সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমানসহ দেশের ৬ স্বনামখ্যাত সাংবাদিক
বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা) : ‘আর্ন্তজাতিক পরমানু সপ্তাহ’ উদযাপনে রাশিয়া সরকারের আমন্ত্রনে মস্কো যাচ্ছেন এনটিভি ও সমকালের পাবনাস্থ স্টাফ করেসপনডেন্ট এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ দেশের খ্যাতনামা ছয় সাংবাদিক।
অন্য পাঁচজন হলেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি মো. মহিউদ্দিন নিলয়, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) মোস্তফা আকমল, সময় টেলিভিশনের আর্ন্তজাতিক ডেস্ক প্রধান ও যুগ্ম বার্তা সস্পাদক মহাম্মদ ওমর ফারুক ইনান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি হাসান আজাদ ও ঈশ্বরদী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনদৃষ্টির সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
সোমবার ২২ সকালে সেপ্টেম্বর হযরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে এমিরেটস এয়ার লাইন্সের বোয়িং বিমানযোগে তারা দুবাই হয়ে মস্কো যাবেন।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর মস্কোর সেন্ট পিটার্সবাগে ‘আর্ন্তজাতিক পরমানু সপ্তাহ’ উৎসব উদযাপন হবে। পরমানু বিজ্ঞানের ৮০ বছর উপলক্ষে রাশিয়া সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও রোসাটম ‘আর্ন্তজাতিক পরমানু সপ্তাহ’ পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
রোসাটম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পারমানবিক স্থাপনে অভুতপুর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম দেশ। পারমানবিক যুগে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে বলে মনে করা হয়।
১৯৮৫ সালে এবিএম ফজলুর রহমান সাংবাদিকতা শুরু করেন। দৈনিক দেশ, ইউএনবি, অ্যাসোেিয়টস প্রেস অব বাংলাদেশ (এপিবি), জার্মান রেডিও ডয়েচে ভেলে এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্স‘র ষ্ট্রিংগার হিসেবে, বিডি নিউজ ২৪ ডট কম, ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় সুনামের সঙ্গে পাবনা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে এনটিভি এবং দৈনিক সমকাল এর পাবনাস্থ স্টাফ রির্পোটারের কাজ করছেন। তিনি ২০০১-২০০৩, ২০০৩-২০০৫ সাল এবং ২০০৫-২০০৭ সালে ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের ইতিহাসে হ্যাট্রিক করেন। এ ছাড়া ২০০০-২০২২ এবং ২০২২-২০২৪ মেয়াদে পর দুই বছর পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি পাবনা থেকে সর্বপ্রথম পিপল ইন্টারেষ্টেড প্রেস ‘পিপ’ নামক একটি সংবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টি’ (পিসিসিআই) এর নির্বাচিত পরিচালক এবং দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর জেনারেল বডি মেম্বর। এ ছাড়া তিনি কনজুমার অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, পাবনার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
সুত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে ২৪০০ মেগওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু‘টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৫ সালের শেষের দিকে কার্যক্রম শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন-এর সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ২’শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গত পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটি পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই নদীতীরে অবস্থিত।
২০১৩ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রাক-প্রারম্ভিক পর্যায়ের কার্যাদি সম্পাদনের জন্য রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত আন্তরাষ্ট্রিয় চুক্তি এবং রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ চুক্তির ভিত্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্বাচিত পারমাণবিক চুল্লিতে নিম্নবর্ণিত পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।