ঈশ্বরদী ইপিজেডে ডায়রিয়ায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ৬ শতাধিক
——–
স্টাফ রিপোর্টার।। ঈশ্বরদী ইপিজেড এ ডায়রিয়া মহামারির রূপ ধারণ করেছে। গত ৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাধিক শ্রমিক। এর মধ্যে কণা নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২ জুন’২৫ রাত ১টার দিকে কণা(২৫) মৃত্যু বরণ করে। সে আইইপিজেড এর আইএইচএম কোম্পানির কোয়ালিটি কাটিং সেকশনের কর্মী ছিলেন। মৃত কণা ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলোকপুর গ্রামের খমিন ইসলামের স্ত্রী। সে ১ সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
আইইপিজেডের ইডি এবিএম শহীদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত কণার স্বামীও একই কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। মৃত কণার স্বামী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে কোম্পানিতে খাবার খেয়ে পানি পান করার পর থেকেই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় কণার। অসুস্থ্য শরীর নিয়েই সে রবিবার কর্মস্থলে যায়। এরপর সে বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে আইইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয় চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার পর কণা কিছুটা সুস্থ্য হলে সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রাতে তার অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। পুনরায় হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণের পূর্বেই কণা মৃত্যু বরণ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে’২৫ আইইপিজেড এলাকায় দুপুরের খাবার খেয়ে পানি পান করার পর থেকে আক্রান্ত শ্রমিকদের পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, জ্বর, বমি ও মাথা ব্যাথা জনিত কারণে অসুস্থ্য হতে শুরু করে। ওইদিন মধ্যরাত অর্থাৎ গত ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত শত শত শ্রমিক পেটের সমস্যা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আইইপিজেড মেডিকেল সেন্টার, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
আইইপিজেডের অভ্যন্তরে যেসব কোম্পানির শ্রমিকরা অসুস্থ্য হয়েছেন সেই কোম্পানিগুলো হলো রেনেসাঁ, নাকানো, এ্যাবা, রহিম আফরোজ, আইএইচএম, স্টিল হেয়ার, অস্কার বাংলা সহ আরও কয়েকটি কোম্পানি।
হাসপাতাল গুলোতে রুগীর এতোই চাপ সৃষ্টি হয় যে বেড, বারান্দার জায়গা ছাড়াও জায়গার সংকট দেখা দেয়। ২ জুন আইইপিজেড’র ইডি এবিএম শহীদুল ইসলাম মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করে ভর্তি রুগীদের খোঁজখবর নেন। কণার মৃত্যুতে তিনি দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন। ক্ষতিগ্রস্থদের কোম্পানির পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।