মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। যা পূর্বের লকডাউনগুলোর চেয়েও কঠোর হবে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। গতবারের চেয়ে কঠিন হবে। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সব কিছুই বন্ধ থাকবে। এটা এ যাবতকালের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ হতে যাচ্ছে।
এ সময়ে মানুষের বাইরে আসার প্রয়োজনই হবে না। কারণ অফিসে যাওয়ার বিষয় নেই। যারা গ্রামে গেছেন, তারা জানেন যে অফিস বন্ধ। তাদের ৫ তারিখের পরে আসতে হবে।’
সংক্রমণ কমাতে সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে আসা যাবে না। বাইরে আসলে ডাবল মাস্ক পরতে হবে।’
আমরা যদি এই ১৪ দিন সফল করতে পারি তাহলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো। না হলে এটা (করোনা সংক্রমণ) বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে যে চাপ তা ম্যানেজ করতে অসুবিধা হবে। তাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এই ১৪ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সবকিছু বন্ধ থাকলেও খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা এবং কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন ও সংক্রমণ এবং ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।