করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৯৭ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩ জনে। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ২৯ দশমিক ৯১।মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা গতকালও ছিল ১ দশমিক ৬৫।
আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫ জন। ৬৯৭টি পরীক্ষাগারের আওতায় ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ২৯৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ হাজার ২৮৪টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ যা গতকাল ছিল ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ এবং ৯৫ জন নারী। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৪১৯ জন এবং নারী ৬ হাজার ৯৭৮ জন। এদের মধ্যে ১৭৩ জন সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন, ৪৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে, ১৫ জন বাসায় এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনয়ন ১ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রামের ৬৫, রাজশাহীতে ২১, খুলনায় ৩২, বরিশালে ৮, সিলেট ১২, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহে ১২ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৪১, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৮০, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৫, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন মারা গেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার ২৪৬, রবিবার ২৩১ জন, শনিবার ২১৮ জন, শুক্রবার ২১২ জন, বৃহস্পতিবার ২৩৯ জন, বুধবার ২৩৭ জন, মঙ্গলবার ২৫৮ (একদিনে সর্বোচ্চ), সোমবার ২৪৭, রবিবার ২২৮, শনিবার ১৯৫, শুক্রবার ১৬৬ ও বৃহস্পতিবার ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল থাকার পর ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়। আজ কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ আগস্টে নেয় সরকার।