বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ ::
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন গ্রেফতার ঈশ্বরদীতে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ফোনে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই কেএসপির সদস্য রফিকুল এর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত বালু খোরদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নৌ পুলিশ।। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না— পুলিশ সুপার,রুহুল কবির রাজসিক সংবর্ধনায় ঈশ্বরদীবাসী বরন করলো নৌকার নয়া মাঝি গালিবুর রহমান শরীফকে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৮ লাখ, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি নির্বাচনের ১০ দিন আগে মাঠে নামছে বিজিবি, থাকবে ১৩ দিন বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা, আবারো অবরোধ হরতাল ঈশ্বরদীতে ট্রেনে আগুন, পুড়ে গেছে ১১ টা সিট পাবনা- ৪ আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন

ঘরের শত্রু বিভীষণ —লেখক সাংবাদিক মুনমুন আক্তার

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

ঘরের শত্রু বিভিষণ
==== মুনমুন আক্তার ====

শত্রু কখনো বাইরের লোক হয় না বরং খুব কাছের আপনজনই হয়। বিশ্বাসঘাতকতা অচেনা মানুষ করে না বরং কাছের চেনা মানুষই করে। ইতিহাস সাক্ষ্যি আছে যে, আজ পর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে যারা নিজেদের জীবন দিয়েছেন তারা সকলেই খুব কাছের বিশ্বাসী চেনা মানুষের দ্বারাই নিহত হয়েছেন এবং কাছের মানুষগুলোই তাদের মৃত্যুর মূল কারণ হয়েছে । কখনো নিজের হাতে মেরেছে আবার কখনো ছলনা করে পরিকল্পিতভাবে খুন করিয়েছে কিন্তু সর্বমূলে সেই চেনা মানুষই ।
যেমন:
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট “সাদ্দাম হোসেন”। তাকে যখন ফাঁসি দেয়া হয় এবং তার মৃত্যুর পরে একদল লোক এসে মৃতদেহের ওপর থুথু নিক্ষেপ করে। অথচ তারা ইরাকেরই নাগরিক এবং দুঃখের বিষয় এটাই যে,যারা তার মৃত্যুতে আনন্দ উপভোগ করলো মৃত্যুর পরে সাদ্দাম হোসেনের দেহকে ধিক্কার দিয়েছিলো অথচ একসময় সাদ্দাম হোসেন তাদেরকেই সুরক্ষা প্রদান করেছেন এবং তাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। পক্ষান্তরে সাদ্দাম হোসেনের ১২ জন আমেরিকান দেহরক্ষি ছিলো যারা তার মৃত্যুতে শোকাহত ছিলো এবং কাঁন্নায় ভেঙে পরেছিলো।
আবার,,,,,,
ভারতের প্রেসিডেন্ট “ইন্দিরাগান্ধী” তার পরিণতি আরও দূঃর্বিসহ ছিলো কারণ তাকে বাইরের কোন শত্রু নয় বরং যারা তার দেহ রক্ষি হিসাবে নিযুক্ত ছিলো তারাই তাকে গুলি করে হত্যা করেছিলো। তারা ইন্দিরাগান্ধীর সুরক্ষা প্রদানের জন্য ছিলো না বরং তারা তার মৃত্যুর জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলো ।
আমরা যদি ভালো ভাবে ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো যে, আমাদের বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে হত্যাযোজ্ঞ তা বর্হিরাগত কোন শত্রুর হাতে হয়নি বরং খুবই চেনা একজন বিশ্বস্ত মানুষের হাতেই হয়েছে । যা সবার কল্পনারও অতীত। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের মৃতদেহ নামাতে কবরে নেমেছিলো যে ব্যক্তি, বঙ্গবন্ধুর মাতার মৃত্যুতে যিনি কাঁন্নায় ভেঙে পরেছিলো মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি করেছিলো। যিনি শেখ কামালের বিবাহের সময় উকিল বাপ হয়েছিলো। ১৯৭৫ সালের ১৪ ই আগস্ট যে লোকটি নিজের বাসা থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্য রান্না করে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাইয়েছিলো, তিনিই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য পরিকল্পিত ভাবে হত্যাযোজ্ঞের শুভ আয়োজন করেছিলো। তিনি হলেন *খন্দকার মোস্তাক*। তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুবই র্নিমম ও নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলো। তার হাত থেকে ৮ বছরের ছোট শিশু শেখ রাসেল সেও রেহায় পায়নি । এই খন্দকার মোস্তাক যিনি ইতিহাসের পাতায় দ্বিতীয় মির্জাফর।
আবার,,,,,,,
সৌদি আরবের বাদশা ফাইজাল নিজ ভাইপোকে আলিঙ্গন করার জন্য যখন দু’হাত বাড়িয়ে ছিলেন তখন হঠাৎ-ই পকেট থেকে পিস্তল বের করে পর পর তিনটি গুলি করলেন।
অর্থাৎ, ক্ষতি কখনো বাইরের মানুষ করে না বরং নিজের চেনা বিশ্বস্ত মানুষই করে।
আমরা যদি ইতিহাস খুঁজি তবে সেখানে এক একটি সামরাজ্যের পতনের পেছনে আমরা তাদের সব থেকে কাছের সব থেকে বিশ্বস্ত ও নিকটতম লোকটিকেই পাবো ।
যে মানুষটিকে সন্দেহের তালিকায় আনার কথা ভাবায় যায় না শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সেই মানুষটাই সকল কিছুর মূলে। তাই
বাংলায় বহু পুরোনো একটা কথা আছে যে,
“ঘরের শত্রু বিভিষণ”এটা সত্য বচন বলে মানা  যায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!