ঢাকা অফিস।। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হতে বাকী আর একটি স্প্যান। গতকাল ১১ ও ১২ নম্বর পিলালের উপর বসেছে ৪০ নম্বর স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটারের অবকাঠামো। শেষ স্প্যানটি যা বসবে আগামী সপ্তাহে। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রতি সপ্তাহে ১টি করে মাওয়া প্রান্তে ৮টি স্প্যান বসেছে। দেশের সর্ববৃহৎ মেঘাপ্রকল্প পদ্মাসেতুর পিলারের উপর স্প্যান বসানোসহ রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে । এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু নির্মাণের দীর্ঘ দুই দশকের চেষ্টার সফল বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
পদ্মার মাঝ নদীতে ৪০ নম্বর স্প্যানটি বসানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬ শত টন ধারণ ক্ষমতার তিয়ান- ই ভাসমান ক্রেনটি দিয়ে ধূসর রঙ্গের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের নিকট নিয়ে রাখা হয়। গতকাল সকাল থেকে পিলারের উপর স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়। সকাল ১১টায় সফলভাবে বসানোর কাজ শেষ হয়। পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ৪০ নম্বর স্প্যানটি বসানোর ফলে পদ্মার দুপাড়ের জোড়া লাগতে আর বাকী থাকবে ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যরে ১টি স্প্যান। আর এই দৈর্ঘ্যের জোড়া লাগতে সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। পদ্মার মাঝ নদীতে ৪১ তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মাসেতুর অবকাঠামো।
দেশের দক্ষিণ – পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। অনেক চড়াউ উৎরাই পার করে নির্মিত পদ্মাসেতু এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ -সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে আরও গতি সঞ্চারিত হবে।