ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।।ঈশ্বরদীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সশস্ত্র হামলায় আহত বিধবা মহিলা মনোয়ারা জোয়াদ্দার (৭০), শাহীনা আক্তার (৪৬), নুসরাত জাহান সামান্তা (২২) ও রিদয় (২১) নিজ বাড়িতে গত ৪ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ রয়েছে। হামলা কারীরা তাদের স্বাভাবিক চলাচলে বাঁধাগ্রস্থ করছে ফলে ঐ পরিবারটি নিজ বাড়িতে প্রাণের ভয়ে বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জনৈক এম এন ইসলাম অভিযোগকারী মনোয়ারা জোয়াদ্দারসহ তাদের অন্য আরও কয়েক ভাইয়ের বসবাসরত বাড়ি ও জমি নিজের দাবি করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সশস্ত্র মাস্তান বাহিনী দিয়ে বাড়িসহ জমি দখল এবং উল্লেখিত আহতরাসহ ৩ টি পরিবারের সকল সদস্যকে উৎখাত করার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। এ সংক্রান্ত একাধিক মামলাও রয়েছে আদালতে। এই মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়ি ও জমির ওপর কোনো রূপ হাঙ্গামা করা যাবে না তা সত্ত্বেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর’২০ সকালে উক্ত এম এন ইসলাম তার মাস্তান বাহিনী নিয়ে নিরীহ পরিবারটির ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় এবং বাড়ি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করে। এসময় তারা উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা হাতুরী, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা গুরুত্বর আহত হয়। এসময় তাদেরকে বাড়ির ভেতর আটকে রেখে বাইরের গেটে তালা মেরে ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। হামলাকারীরা রক্তাক্ত জখম হওয়া উক্ত আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা গ্রহণ করতেও বাঁধা সৃষ্টি করে। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করা হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ পায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারী এম এন ইসলাম ও তার মাস্তান বাহিনী সাংবাদিকদের ওপর চড়া হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি তাৎক্ষনিক সামাল দেয়। কিন্তু প্রভাবশালী এম এন ইসলামের প্রভাবের কাছে অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ যথেষ্ট দূর্বলতার পরিচয় দেয়। যার ফলে হামলার শিকার ওই পরিবারটি চরম অসহায় হয়ে পড়ে। এব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। জমি-জমা বাড়ি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে মামলা মুকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছে উ।এখানে যা কিছু করার আদালতই করবে। আমরা শুধু তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি সামলা দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। তিনি অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি পাশ কাঁটিয়ে যান এবং বলেন এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।