বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্টে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের অবৈধ ইটভাটায় নামমাত্র অভিযান পরিচালিত হয়েছে।এতে ব্যাপক সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ^রদী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ৩টি ইটভাটায় নামমাত্র অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার টি.এম. রাহসিন কবির। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি ইট ভাটার মালিকদের মাত্র ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট ইট ভাটার সংখ্যা ৬৮ টি। তবে এবছর এখন পর্যন্ত সচল করা হয়েছে মোট ৫২টি। এর মধ্যে নামমাত্র ৩টি ইট ভাটায় জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে অবস্থিত মেসার্স পদ্মা ব্রিকসকে ৩০ হাজার টাকা, মেসার্স একতা ব্রিকসকে ৩০ হাজার টাকা এবং সেভেন স্টার ব্রিকসকে ২০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়।
ঈশ্বরদী পৌর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত পদ্মা নদীর তীরে লক্ষীকুন্ডায় ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। লক্ষীকুন্ডার তিনটি গ্রাম কামালপুর, দাদাপুর ও বিলকেদার গ্রামে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি জমির ওপর এসব ইট ভাটায় ইট পোড়ানো হয়। ভাটা নির্মাণের জন্য চিমনির উচ্চতা ও আনুষঙ্গিক যে নির্দেশনা রয়েছে তা অধিকাংশ ভাটা মালিকারা মানেননি।
ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। এ সব ভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। এসব ভাটা দিয়ে নির্গত কালো ধোঁয়া অনবরত এলাকার পরিবশে দূষণ করছে। বেশির ভাগ ভাটার মালিকরা ইট তৈরির জন্য অবৈধ উপায়ে পদ্মার চর থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন। কাঠ দিয়ে এতোগুলো ভাটায় ইট পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণ এবং কৃষি ফসলের উপর প্রভাব পড়ছে। সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স কিছুই দেয় না ভাটার মালিকরা। ফ্রিতেই পরিবেশ দূষণ করে অবাধে এই ইটভাটাগুলো অবৈধভাবে কয়েকবছর যাবত পরিচালিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত: ‘এক লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নেই ৫২টি অবৈধ ইটভাটা, কৃষিজমি ও পরিবেশ বিনষ্ট করে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ’ শিরোনামে অনলাইন ও প্রিন্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়।