চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলা রুজু হওয়ার ০১ (এক) সপ্তাহের মধ্যে হত্যা মামলার মূল হোতা গ্রেফতার, হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান।
সূত্রঃ লালপুর থানার মামলা নং- ১৮, তাং- ১২/০৩/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
গত ১২/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৭.৫০ ঘটিকায় নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন পুরাতন ইশ্বরদী গ্রামস্থ জনৈক মজের (৬০) এর ভুট্টাক্ষেতের দক্ষিন পার্শ্বের আইলের নিকট অত্র মামলার ডিসিষ্ট মোঃ সোহেল হোসেন (৩৫), পিতা- মৃত মকবুল হোসেন, সাং- পুরাতন ইশ্বরদী, থানা- লালপুর, জেলা- নাটোর এর মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ডিসিস্টের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় সূত্রোক্ত মামলাটি দায়ের করে। পিবিআই, নাটোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শরিফ উদ্দীন উক্ত মামলাটি স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে এবং মামলার তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ ফরিদুল ইসলাম কে অর্পন করেন। পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের তত্ত্বাবধান ও সঠিক দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই, নাটোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শরিফ উদ্দীন মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং পিবিআই নাটোর জেলার চৌকশ টিমের চিরুনি অভিযানে মামলা প্রাপ্তির ০৩ দিনের মধ্যে উক্ত হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী মোছাঃ কুলসুমা খাতুন (২৭), স্বামীঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাং- পুরাতন ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট মোড়, থানাঃ লালপুর, জেলাঃ নাটোর কে লালপুর থানাধীন কদমছিলান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং মামলার রুজু হওয়ার ০১ (এক) সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ গত ১৯/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল ১৭.২০ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানাধীন লক্ষীপুর ভাটাপাড়া গ্রাম হতে অত্র হত্যা মামলার মূল হোতা মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি (৪৫), পিতা- মৃত মকবুল হোসেন, সাং- পুরাতন ইশ্বরদী এয়ারপোর্ট মোড়, থানা- লালপুর জেলা- নাটোরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদীনির স্বামী ডিসিস্ট মোঃ সোহেল হোসেন (৩৫) কে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ধৃত আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি (৪৫) বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
তদন্তকালে জানা যায় যে, আসামী শফিকুলের স্ত্রী মোছাঃ কুলসুমা খাতুনের সাথে ডিসিস্ট সোহেল এর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন ১১/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা ১৯.৩৪ ঘটিকায় মোছাঃ কুলসুমা খাতুন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে ডিসিষ্ট সোহেলকে ফোন করে তার বাড়ীতে ডেকে নেয়। আসামী শফিকুল তার বাড়ীর নিকটবর্তী জনৈক ইদ্রিস এর চায়ের দোকান হতে চা খেয়ে ২১.৩০ ঘটিকায় তার বাড়ীতে প্রবেশ করলে ডিসিষ্ট সোহেলকে তার ঘরের খাটের উপর বসে থাকতে দেখে আসামী শফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলের জামার কলার ধরে তাকে ঘুষি মারে এবং গলা চেপে বিছানার উপর শোয়ায়ে ফেলে এরপর হাতের কাছে থাকা গামছা দিয়ে সোহেলের গলায় ফাঁস লাগায়। তখন সোহেল দুর্বল হয়ে গেলে আসামী শফিকুল ডিসিস্ট সোহেলের গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় তার বাড়ীর উঠানে নিয়ে আসে এবং সোহেল এর গলায় জোড়ে ফাঁস দেয়। সোহেল মারা গেলে আসামী শফিকুল তার পা ধরে টেনে নিয়ে বাড়ীর নিকটে মজেরের ভুট্টাক্ষেতের আইলের উপর লাশ ফেলে রেখে বাড়ী হতে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত গামছাটি আসামীর বাড়ী হতে উদ্ধার করে জব্দ করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার নামঃ- পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ ফরিদুল ইসলাম।
তদন্ত তদারকি অফিসারের নামঃ- জনাব মোঃ শরিফ উদ্দীন, পুলিশ সুপার, পিবিআই, নাটোর জেলা।