স্টাফ রিপোর্টার।।
পাবনার ঈশ্বরদীর ব্যস স্টেশন রোডস্থ সোনালি ব্যাংকের সামনে বেড়েছে পকেটমারের উৎপাত।
বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ দুপুরে সোনালি ব্যাংকের সামনে একটি পকেটমারের ঘটনা ঘটেছে।
ঈশ্বরদী শহরের সর্বোচ্চ ব্যস্ততম সড়ক স্টেশন রোড। আর এই ব্যস্ততম সড়কের পাশেই ঈশ্বরদীর বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা ও বিভিন্ন বেসরকারি অফিসের অবস্থান। ঈশ্বরদী বাজার ও রেলওয়ে স্টেশনে আসারও প্রধান সড়ক এটি।
ঈশ্বরদী বাজার ও স্টেশনের যাত্রীদের জন্য ঈশ্বরদী বাজারের ১ নং গেট থেকে প্রায় ৩০০ মিটারের মত ব্যস্ততম সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে এই ব্যস্ততম সড়কে প্রায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোনালি ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার অবস্থান ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার কারনে সৃষ্ট যানজটের ঠিক মাঝখানে। ফলে সোনালি ব্যাংকের গেটের সামনে তীব্র যানজট লেগে থাকে। আর এই যানজটের সুযোগে পকেটমারের শিকার হচ্ছে ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ দুপুরে সোনালি ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার সামনে থেকে এমনই একটি পকেটমারের শিকার হন বিল্লাল হোসেন (৪৭)।
ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত কুবাদ আলী প্রামানিকের ছেলে। তিনি ইসলাম ব্যাটারি এন্ড অটো ইলেক্ট্রিক ও নাইম মটরস এর ম্যানেজার।
বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি দুপুর পৌনে একটার দিকে স্টেশন রোডস্থ ইসলামি ব্যাংকের সামনে থেকে এক ব্যক্তির নিকট থেকে তিন লাখ টাকা গ্রহন করেন। সেই টাকা পকেটে নিয়ে হেঁটে ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় পথমধ্যে সোনালি ব্যাংকের গেটের সামনে তীব্র যানজটের মধ্যে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁকে ধাক্কা দেন। একই সঙ্গে আরও দুইজন পেছন থেকে ঘিরে ধরেন। এরপর তিনি পকেটে হাত দিয়ে দেখেন এক লাখ টাকার একটি বান্ডিল খোয়া গেছে।
বিল্লালের অভিযোগ সোনালি ব্যাংকের গেটের সামনে থাকা অটোরিক্সার কারণে সৃষ্ট তীব্র যানজটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পকেটমাররা বারবার ব্যাংকের গ্রাহকদের পকেট মেরে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস পুর্বে দাশুড়িয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম সোনালি ব্যাংক থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে মোটর সাইকেলে করে যাওয়ার সময় যানজটে পড়ে পকেট মারের শিকার হন।