রাজবাড়ী সদর খানখানাপুরে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধন চলাকালে খানখানাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন ১০ মিনিট থামিয়ে দেয় সাধারণ জনগণ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খানখানাপুর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ঢাকাস্থ খানখানাপুর সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক ও খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম লাল, খানখানাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. ফরহাদ হোসেন নান্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ হারুন, খানখানাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নব কুমার দত্ত প্রমুখ।
যাত্রাবিরতির দাবিতে এই মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন খানখানাপুরের সর্বস্তরের অনন্ত দুই শতাধিক মানুষ।
অংশগ্রহণকারীদের দাবি, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালি, খোকশা, পাংশা, কালুখালী জংশন, রাজবাড়ী হয়ে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে পাঁচুরিয়া জংশন যাত্রাবিরতি দিয়ে খানখানাপুর হয়ে ঢাকা গমন করে। কিন্তু খানখানাপুরের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রাবিরতি করে না। ফলে প্রতিদিন মানুষের নানাবিধ ভোগান্তি সহ্য করে ঢাকা যেতে হয়। এলাকাবাসী খানখানাপুর স্টেশনে ঢাকাগামী সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নগাঁথা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোজনায় সাধারণ মানুষ উপকৃত ও উচ্ছ্বসিত। পদ্মা সেতুর রেল সেবার সুফল ভোগ করার লক্ষ্যে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি খানখানাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি।’
এ সময় তারা ১৫ দিনের আলটিমেটাম জানিয়ে বলেন, ‘খানখানাপুর ও গোয়ালন্দসহ আশপাশের লোকজনের সুবিধার জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রাবিরতি না দিলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো। আশা করছি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খানখানাপুরে যাত্রাবিরতি দেবেন।