==== মুনমুন আক্তার====
সারাদেশ জুড়ে কেবল একটাই ঝড় বয়ে যাচ্ছে সেটা হলো ধর্ষণ নামক ঝড়। যা খুবই লজ্জাজনক আমাদের জন্য। আমাদের তরুণ সমাজের অবক্ষয়েরই পরিনাম আজকের এই পরিস্থিতি। তরুণ যুবকেরা বর্তমানে আড্ডাবাজি,চাঁদাবাজি,
রাজনীতির নামে মাস্তানি দলবাজি,ফেসবুকের অপব্যবহার আর ফ্যাসানের কারণে তারা সকল প্রকার সভ্যতা বিসর্জন দিয়েছে। তারা রাজনৈতিক বিভিন্ন নেতার দোহায় দিয়ে বেড়াই অথচ যে নেতার দোহায় দেয় সেই নেতা তাকে চিনেন কি না সেটাই সন্দেহের বিষয়। বিকেল হলেই তাদের দেখা যায় রাস্তার পাশে ,রেল লাইনের ধারে কিংবা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা জমিয়ে নানা ধরনের নেশাদ্রব্য গ্রহণ এবং জুয়া খেলতে। তারা ফ্যাসানস্বরূপ অরুচিকর চুল রেখে হাতে ব্যাচ পরে অনেকেই কানে দুল লাগিয়ে যেসব অঙ্গভঙ্গি ও অশ্লীল কথাবার্তা বলা বলি করে তাতে সভ্যলোকের চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। তারা বিভিন্নস্থানে বসে এই ধরনের কিশোর তরুণ যুবকরা গায়ে মাস্তানি লেভেল লাগিয়ে এলাকাভিত্তিক যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায় আর নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের লোক বলে জাহির করে। এই সমস্ত বখাটেরা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়ায় যা অন্ত্যান্ত দুঃখজনক । ধর্ষণ নামক জঘন্য অপকর্মে তারা লেগে পড়েছে। যা গোটা দেশের জন্যই দুঃখ ও কলঙ্কজনক। তাদের এই পরিস্থিতির জন্য কিছুটা হলেও তাদের পরিবার দায়ী। কারণ সু-শিক্ষার অভাবে অথবা বেশি প্রশ্রয়ের কারণে আজ তারা লাগামহীন হয়ে পড়েছে। যদি পরিবারের থেকে সঠিক পরিচালনা থাকতো তাহলে এরা এতটা অবক্ষয়ের দিকে যেতে পারতো না। অনেক সময় পিতা মাতা জানেনই না যে তার ছেলে রাত ১০ পর্যন্ত কোথায় কোন বন্ধুর সাথে আছে। তারা কি করছে? তারা কি কোন ভালো কাজের সাথে যুক্ত না কি খারাপ কাজের সাথে যুক্ত তা বেশিরভাগ পিতা মাতায় খোঁজ রাখেন না। তারা অল্পবয়সী ছেলেদের হাতে স্মার্ট ফোন কিনে দিচ্ছেন শুধু মাত্র সন্তানের আব্দার পূরণের জন্য অথচ তারা খেয়াল করছেন না যে তাদের সন্তান ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার করছে না কি তার অপব্যবহার করছে। কিন্তু এই আব্দারই আজ তাদের জন্য অভিশাপ। অসচেতনাতারই ফসল আজকের এই পরিস্থিতি। সারাদেশে লাগামহীন ভাবে চলছে সিরিজ ধর্ষণ । আর দেশের বিভিন্ন স্থানে এরই প্রতিবাদে চলছে মানববন্ধন। বাংলাদেশ আইন পরিষদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাতেও কমছে না ধর্ষণ নামক জঘন্য অপরাধ। আজকের এই ধর্ষকের হাত থেকে ৬০ বছরের গৃহবধূ অথবা ৪ বছরের একটা বাচ্চাও রেহায় পাচ্ছে না। সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন
এই অপরাধের শেষ কোথায়?
এই বখাটে ছেলেদের জন্য কি মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে না?