কুষ্টিয়ায় স্প্রিরিট পানে ২ জনের মৃত্যু! অসুস্থ ১জন! ভন্ড হোমিও চিকিৎসক পলাতক
ভেড়ামারা প্রতিনিধি – আর কত মানুষ মারা গেলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নামে স্প্রিরিট বিক্রেতাদের পেট ভরবে। এই ভন্ড চিকিৎসক এর জন্য গতকাল ৩ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্প্রিরিট পান করে নুরুল ও কাশেম নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্প্রিরিট পান করে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১ জন। এ ঘটনার পর থেকে স্পিরিট বিক্রেতা হোমিওপ্যাথিক নামে এক ভূয়া চিকিৎসক হামিদুল পলাতক রয়েছেন।
নিহত নুরুল ইসলাম (৫০) কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে। তিনি একজন মোটর শ্রমিক। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নুরুলের মৃত্যু হয়।
এর আগে একই সঙ্গে স্প্রিরিট পানে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে কাশেম আলী (৪০) মারা যান। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলাম পটলের ছেলে। কাশেম নুরুলের সহযোগী ছিলেন। স্প্রিরিট পানে অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গঞ্জের আলী। তিনি দুর্বাচারা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে।
এই প্রতিবেদক কে দেশ-বিদেশ খ্যাত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, সফল সংগঠক, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, মুখোশধারী স্প্রিরিট বিক্রেতা নাম ধারী সকল হোমিওপ্যাথিক ভন্ড অপ- চিকিৎসকদের কে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। হোমিওপ্যাথির সম্মান রক্ষায় দেশের সকল থানার স্ব স্ব হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কে কে এই অপকর্মে জড়িত তাদের কে সনাক্ত করে স্ব স্ব থানায় জানানোর আহবান জানান।