ঈশ্বরদীতে কোচিং সেন্টারে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৩ বছর বয়সী ওই নারী একজন গৃহবধূ। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় ওই নারী লিখিত এজাহার দায়েরের পর পুলিশ এজাহারভূক্ত নামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গত মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোডের এমবিশন কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দুইদিন পর গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) গভীর রাতে ঈশ্বরদী থানায় ওই ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়েরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ভিকটিম তার মা ও স্বামীকে সাথে নিয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেন। ধর্ষনের এজাহার পাওয়ার পর গভীর রাতেই নামীয় আসামী কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পূর্বটেংরী ঈদগাহ রোডের শাহনেওয়াজ ইসলাম হিরোজের পুত্র। অভিযুক্ত অজ্ঞাত আরও ২ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার মশুড়িয়া পাড়ার (আফতাবের কাঠ মিলের পেছনে) শাহ আলমের সাথে অভিযোগকারী ধর্ষিতার ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ভিকটিম তার ছেলেকে পড়ানোর জন্য নাহিয়ান ইসলাম নাহিদের কাছে শিক্ষক খুঁজে দেওয়ার জন্য বলেন। ২৯ আগষ্ট বিকেলে নাহিদ মোবাইল ফোনে ছেলেকে পড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে কোচিং সেন্টারে আসার জন্য বলে।
এজাহারে বলা হয়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভিকটিম কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখেন সেখানে আরও ২ জন অপরিচিত ব্যক্তি বসে আছে। ভিকটিম ঘরে ঢোকার সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং ৩ জন পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরে তাকে বের করে দেয়। বাড়ি ফিরে মা ও স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন। এবিষয়ে আত্মিয়-স্বজনের সাথে আলাপের কারণে এজাহার দাখিলে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোচিং সেন্টারের নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।