নোয়াখালীর মাইজদীতে প্রেম ও আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে প্রথমে মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা এবং পরে বাধা দেওয়ায় মেয়েকেও একই কায়দায় হত্যা করেছে প্রবাসী আলতাফ হোসেন। বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর বারলিংটন মোড় সংলগ্ন গুপ্তাংক গ্রামে মা-মেয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলতাফ নামে এক প্রবাসীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আলতাফ জানায়, তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার আলেকজান্ডার উপজেলায়। তিনি প্রবাসী। গত ছয় মাস পূর্ব থেকে নুর নাহারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই জের ধরে নুর নাহার তাকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসতে অনুরোধ করে। দেশে আসলে আলতাফকে নুর নাহারের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয় এবং তাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা ধরিয়ে দিবে মর্মেও আলতাফের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেয়।
তারই জের ধরে গত ৮ জুন দেশে আসে আলতাফ। এসে নুর নাহারের সঙ্গে দেখাও করে। কিন্তু
দেখা করলেও এখন টাকা দিতে অস্বীকার করে নুর নাহার। এক পর্যায়ে বুধবার সকাল ১০টায় পুনরায় তার বাসায় গিয়ে টাকা চাইলে নুর নাহার ও আলতাফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আলতাফ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি নুর নাহারকে কুপিয়ে হত্যা করে। এক পর্যায়ে নুর নাহারের মেয়ে ফাতেহা আজিম পিয়ন্তী বাধা দিলে তাকেও একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে আলতাফ।
এদিকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে আলতাফ। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে নোয়াখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় এলাকায় ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৫) ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী কুপিয়ে হত্যা করে ওই প্রবাসী যুবক।