দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নিজ জেলা পাবনায় সফরকে কেন্দ্র করে আবেগে ভাসছেন পাবনাবাসী। আগামী ১৫ মে ৪ দিনের সরকারি সফরে তিনি নিজ জেলা পাবনায় আসছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পাবনার এই কৃতী সন্তানের সফর ঘিরে পাবনা শহরসহ পুরো জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
১৬ মে সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে রাষ্ট্রপতিকে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার পাবনা চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে শহরের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে আনন্দ মিছিল বের হয়। হাতি ও বাজনাসহ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের এ আনন্দ মিছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুর ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কসমুহ প্রদক্ষিণ করে। পুরো শহরবাসী এ আনন্দে শরিক হন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম ও বেড়ে ওঠাসহ শিক্ষা এবং রাজনীতির হাতেখড়ি পাবনায়। তৃণমূল থেকে রাজনীতি, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা ও আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ছিলেন। বিচারক হিসেবেও তিনি অসামান্য সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন।
সর্বশেষ তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মতো পাবনায় আসছেন। তার সফরকে ঘিরে পুরো শহরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে পাবনা। ব্যানার ফেস্টুনে ভরে গেছে সড়ক-মহাসড়ক। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সর্বত্র।
রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে জেলা প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীরা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।এদিকে রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে পুরো পাবনা জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার প্রস্তুতি চলছে। প্রায় ৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে।
এসএসএফ, পিজিআর, ডিজিএফআই, এনএসআই, পাবনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থানগুলো পরিদর্শন ও তদারকি করছেন। শহর ঘুরে দেখা যায়, পাবনা সার্কিট হাউজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ চলছে।
হেলিকপ্টারযোগে পাবনা স্টেডিয়ামে অবতরণ করবেন বলে সেখানেও নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এছাড়া পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণ, পাবনা প্রেসক্লাব, পাবনা ডায়াবেটিস সমিতি, সদর গোরস্থান, জেলা পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক এবং স্কয়ার বাগানবাড়ি ও পারিবারিক কবরস্থানসহ রাষ্ট্রপতির সফরসূচির স্থানগুলোতে কর্মযজ্ঞ চলছে।
জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি নিজ জেলায় আসবেন। জেলাবাসীর জন্য এটি খুবই আনন্দের খবর। বরণের প্রস্তুতি শেষের দিকে। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে পাবনাকে। রাষ্ট্রপতির বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীসহ (এসএসএফ) সব বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের বৈঠকও হয়েছে। নিরাপত্তার দিক দিয়ে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।