ঈশ্বরদীতে কথিত স্বামীর পেট্রোলের আগুনে পুড়িয়ে স্ত্রী হত্যার চেষ্টা, ঝলসে গেছে দেহ
————
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।। কলহের জের ধরে কথিত স্বামী রনির পেট্রোলের আগুনে ঝলসে গেছে তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন হ্যাপি (২৫)’র সারা দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ মে দুপুরে প্রত্যন্ত এলাকা ঈশ্বরদীর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গরু হাটায়।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে ফেসবুকে সম্পর্কের সূত্রধরে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়ার রমজানের ছেলে রনির সাথে নেত্রকোনার উলুকান্দার আব্দুল লতিফ আকন্দের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া নিলুফা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। রনির বৌ ছেলে মেয়ে থাকায় রনি হ্যাপিকে নিয়ে পাকশীর রূপপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। এখান থেকে হ্যাপী মাঝে মাঝে নেত্রকোনায় যাতায়াত করতো। ভাড়া বাড়িতে বসবাস করায় আপত্তি থাকায় হ্যাপী রনির নিজ বাড়ীতে বসবাস করতে চাইলে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ সৃষ্টি হতো।
গত ৮ মে’২৩ দুপুর ১টার দিকে স্বামীর বসতবাড়ীতে উঠার জন্য হ্যাপী রনির অনুমতি ছাড়াই আওতাপাড়া গেলে উভয়ের মধ্যে চরম বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রনি উত্তেজিত হয়ে তার বন্ধুর সহযোগিতায় পেট্রোল এনে হ্যাপীর গায়ে ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে হ্যাপীর শরীর দগ্ধ হয়ে ঝলসে যায়।
এসময় স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে হ্যাপীকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রনিকে গ্রেফতার করে। আগুন জ্বালানোর সময় রনিও কিঞ্চিৎ পুড়ে আহত হওয়ায় তাকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং রনিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রনি এবং হ্যাপীর বিয়ের বৈধতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অরবিন্দ সরকার জানান, বিয়ের বিষয়টি তারা উভয়েই স্বীকার করলেও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ঘটনার পরপরই সংবাদ পেয়ে পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে। হ্যাপীকে হত্যার উদ্দেশ্যই হ্যাপীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।