বাংলাদেশ রেলওয়ের লোহা চুরি করার দায়ে পাকশীর রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের ভাগনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
গতকাল ১৬ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক, ডিআরএম শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত মো. রাসেল (২৪) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. রাসেল টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকার দিনমজুর মো. রুহুল আমিনের ছেলে এবং পাকশীর রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের ছোট বোনের ছেলে।
জানতে চাইলে মো. রাসেল বলেন, আমার মামা ডিসিও নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় ২০২১ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী গেটকীপার হিসেবে আমি চাকরিতে যোগদান করেছিলাম। আমি ভুল করে ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রেলের ৭ টি ফিস প্লেট চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। সেই অপরাধেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআরএম শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, দাশুড়িয়া রেলক্রসিং গেটের অস্থায়ী গেট কিপার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন কালে রাসেল রেলের মূল্যবান লোহা (ফিস প্লেট) চুরি করেছে এমন একটি অভিযোগসহ ভিডিও আমার হাতে আসায় আমি বিষয়টি নিয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে চুরির দায় রাসেল স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে জানতে ডিসিও নাসির উদ্দিনকে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিহির রঞ্জন দেব বলেন, রেলের মূল্যবান লোহা চুরির দায়ে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি সরকারী সম্পদ চুরির মামলা হয়েছে। যার মামলা নং-২ তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
উল্লেখ্য, ডিসিও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর অগেও রেলের নানা অনিয়মের একাধিক সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করলেও অদৃশ্য শক্তির বলে রেলওয়ের সকল প্রকার দূর্নীতির আখড়া গেরেও নিজের অবস্থানে অনড় আছেন দূর্নীতিবাজ রেলের এই কর্মকর্তা। তার এমন কর্মকান্ড আর রেলেওয়ের নিরবতায় হাজারো প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে জনমনে।