ঈশ্বরদীতে সাংবাদিক পেটানোর মামলায় আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ঈশ্বরদীর দুই সাংবাদিক গুরুতর আহত হওয়ারহওয়ার পরেও মামলায় আসামী আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রহৃত সাংবাদিক শিশির মাহমুদ এবং রাসেল আলী। তারা বলেন গত ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী থানায় এজাহার দেওয়া হলেও মামলা রেকর্ড হয় ১৫ ডিসেম্বর। এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের হলেও রবিবার পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। এমনকি অবৈধ যৌন উত্ত্যেজক ওষুধ তৈরীর এসএমই ল্যবরেটরী ইউনানী কারখানা বন্ধে কোন অভিযানও পরিচালিত হয়নি। এতে ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক সিরাপ তৈরীর খবর সংগ্রহ করতে ওই কারখানায় গেলে এশিয়ান টিভির ঈশ্বরদী প্রতিনিধি রাসেল আলী (২৬) এবং দৈনিক মুক্তখবরের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনদাবীর স্টাফ রিপোর্টার শিশির মাহমুদ। এসময় ওই কারখানার এক্যাউন্টন্স ম্যানেজার শিমুল কৌশলে কারখানার মুল ফটক বন্ধ এবং বিদ্যুৎ এর মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়। পরে মালিক মাহাবুব আলমসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিকদ্বয়কে ঘরে আটকে রেখে বেদম মারধর এবং ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। এসময় লোহার রড, জিআই পাইপ, লোহার হাতুড়ির আঘাতে শিশিরের মাথা ফেটে যায়।
ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ ডিসেম্বর প্রেসকাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঈশ্বরদীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক স্বপন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম বিশ্বাস, সাংগাঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাবলু, দপ্তর সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রিংকু,স্বকাল বাংলার সম্পাদক মিশুক প্রধান,বিএম এসএস রাজশাহী বিভাগীয় সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক ও সংবাদ ভূমির সম্পাদক খালেদ মাহমুদ সুজন সমাবেশে বক্তারা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক ওষুধ তৈরীর এসএমই ল্যবরেটরী ইউনানী কারখানা সিলগালা এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এরপর ৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং আসামী গ্রেফতার হয়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি এস এম রাজা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে ও সেই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুততম বিচারের আওতায় আনা দাবি করেছেন
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, আসামী গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ##