বিএসআরআই বিজ্ঞানীদের সাফল্য।। দেশে প্রথম আখের সাথী ফসল ধান চাষের প্রযুক্তি আবিষ্কার
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতাঃ
দেশে প্রথমবারের মতো আখের সাথী ফসল হিসেবে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ঈশ্বরদীস্থ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিউট ইতোপূর্বে আখের সাথী ফসল হিসেবে সবজি ও মসলার চাষ করলেই এবারেই প্রথম টেকনোলজী ব্যবহার করে ধান চাষ শুরু করেছে। এক কেজি ধান উৎপাদনে খরচ হয় আড়াই হাজার লিটার পানি। আর আখ খরা সহিষ্ণু। এই দুই বিপরীত বৈশিষ্ঠ্যের ফসল একসাথে চাষের পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন সুগারক্রপের বিজ্ঞানীরা। এই যৌথ ফসল পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে সফলতা এসেছে। ফলনও ভালো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের ইনচার্জ ড. আনিসুর রহমান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বেড পদ্ধতি ও সরাসরি আবাদ দুইভাবেই আখ ও ধান একসাথে চাষ করা সম্ভব। আর এতে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রয়োজন নেই। এতে জ্বালানী ও বিদ্যুত খরচও কম হবে। উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি ও পুযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন জানান, হিসেব করে দেখা গেছে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কমবে এক-তৃতীয়াংশ। এতে লাভবান হবে কৃষক। এবছরে আমরা সফল হয়েছি। ইনশাল্লাহ আগামী বছরে আমরা এই পদ্ধতি কৃষকদের ফিল্ডে নিয়ে যাব।
কৃষকরা জানান, এই অবস্থায় যদি দুই শষ্যের আবাদ করা গেলে আমরা লাভবান হবো। অল্প পানিতে যদি আমরা ধান আবাদ করতে পারি সেটাই আমাদের জন্য বেশী উপকার হয়। আখের খরচ দিয়েই ধানের দুই-তৃতীয়াংশ খরচ মিটে যায়।
এদিকে শুক্রবার (২০ মে) বিএসআরআই-এর আয়োজনে এই প্রযুক্তির উপর মাঠ দিবস ও মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস। সভাপতিত্ব করেন বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক আশরাফ আলী, ডাল গবেষণার পরিচালক ড. মহিউদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তৌফিকুল আলম, ধান গবেষণার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভাবক ড. আনিসুর রহমান।