১৫ই আগষ্টই খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্মদিন
—————————————– মুরাদ মালিথা
আমার বদ্ধমূল ধারনা ১৫ই আগষ্টই বি এন পি নেত্রী খালেদা জিয়ার আসল জন্ম দিন। আগষ্ট মাসে ১৫ তারিখে যে খালেদা জিয়ার জন্ম হয়েছে তাতে আমার যেমন কোন সন্দেহ নেই, আমার বিশ্বাস এতে আপনারও কোন সন্দেহ থাকবেনা।
আশ্চর্য হচ্ছেন! তা হওয়ারই কথা, কারন, আমি আপাদ মস্তক মুজিবাদর্শকে লালন করি। আমি বিশ্বাস করি আনান্য দিনের মত ১৫ আগষ্ট করো জন্ম বা মৃত্যু হওয়া স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে ১৫ আগষ্ট খালেদা জিয়ার জন্ম হতেই পারে। তাতে কারো কিছু বলার থাকেনা।
কিন্তু আমি বলছি অন্য কথা। কথাটি হলো ১৯৭৫ সালের১৫ ই আগষ্ট স্বাধীন বাংলার মহান স্হপতি বাংলার ইতিহাসের মহাকালের মহা বাঙ্গালী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা পরিবার পরিজন সহ সকলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। কাজেই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টই জিয়াউর রহমানের স্ত্রী তারেক জিয়ার মা বি এন পি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুল জন্মদিন। কারণ জাতির পিতা মুজিব কে হত্যা করা না হলে আজকের খালেদা জিয়া কোথাকার কোন মেজরের বৌ হয়ে পৃথিবীর কোথার সংসার করতো তা এদেশের ৯৯% মানুষ কি জানতো? চুপ থাকবেন না বলুন,জানতো কিনা ?? আমি বিশ্বাস করি ১৫ আগষ্ট জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে মধ্যদিয়ে আজকের খালেদা জিয়ার জন্ম। আমি বিশ্বাস করি ওই দিন শুধু খালেদা জিয়ারই জন্ম হয় নি! জন্ম হয়েছে জেনারেল জিয়ার, তারেক জিয়ার , স্বাধীনতা বিরোধী জামত শিবির তথা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির জন্মদিন ১৫ আগষ্ট।স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির জন্মদিনই ১৫ আগষ্ট।ওইদিন বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ,জিন্দাবাদ, রেডিও বাংলাদেশ তথা সামরিক স্বৈরতন্ত্রের জন্মদিন
আর ১৫ আগষ্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে-ই স্ব পরিবারে হত্যা করা হয়নি সেদিন হত্যা করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে,জয় বাংলাকে, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে, হত্যা করা হয়েছিল গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ও ধর্ম নিরোপেক্ষতাকে হত্যা করা হয়েছিল, হত্যা করা হয়েছিল স্বপ্নলব্ধ বাঙ্গালীর স্বাধীনতার মুল চেতনাকে সেদিন এদেশকে পাকিস্থানী ঘরনার রাষ্ট্রে পরিনত করা হয়েছিল।
এখানে প্রশ্ন হতে পরে তা,হলে ১৫ আগষ্ট প্রতিক্রিয়াশীলরা শুধু মাত্র খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করে কেন? এর উত্তর একটায়
তা হলো বিএন পি,জামাত, শিবির, রাজাকার, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি,স্বাধীনতা বিরোধী আন্তর্জাতিক ও মৌলবাদী চক্র সহ স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির ঐক্যের প্রতিক হলো “খালেদা জিয়া”
কাজেই ওরা ১৫ই আগষ্ট এই সকল অশুভ শক্তির প্রতিক খালেদা জিয়ার জন্মাউৎসবের মধ্যদিয়ে তারা তাদের সকলের জন্মদিন পালন করে।
যেমন ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে কারবালার প্রান্তরে আওলাদে নবী ইমাম হোসেনকে হত্যা করার পর উমাইয়া শাসকগোষ্ঠিরা দুইশত বছর আশুরার দিন উৎসব পালন করেছে আনন্দ ফূর্তি করেছে কারন ওইদিন মহানবীর প্রিয় দৌহিত্রকে হত্যা করে নবীর বংশকে ক্ষমাতাচ্যুত করা হয়েছে।দুই শত বছর পর মুসলমানরা বুঝতে পারলো তারা বুক থাপড়ে শোক পালন করতে থাকলো মুর্সিয়া ও মাতম করতে শুরু করলো।সেই কান্নার ধ্বনী আর মোর্সিয়ার সুর সেই থেকে আজও থামেনী কোনদিন থামবেও না ইনশাল্লাহ্ কিন্তু সেই উল্লাস কারীরা ইতিহাসের কোন অতলান্তে কোথায় হারায়ে গেছে তার ঠিক নেই।
ঠিক তেমন ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালীর মহাশোকের দিনে ওই উল্লাস করে জন্মাৎসব পালনকারীরা ইতিহাসের ঘৃনিত ডাষ্টবিনে হবুডুবু খাবেই খাবে।
আর শোকের মাতম নিয়ে শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে ইতিহাসের মহাবাঙ্গালী জাতীর পিতা মুজিবকে প্রতিটি বাঙ্গালী তাদের হৃদয়ের মনিকোঠার মহানায়ক করে রাখবে যুগ হতে যুগান্তর।।
(লেখক- মুরাদ মালিথা
সাবেক ভি পি ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ, যুগ্ন সম্পাদক বাংলাদেশ কৃষক লীগ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা। কবি ও কলামিষ্ট)