খেলা মানের টাকা। আর সেটা যদি হয় ফুটবলের কোপা কিংবা ইইরো অথবা বিশ্বকাপ তাহলে তো পরিমাণটাও বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
তিন তিনটি ফাইনাল। তিনবারই হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ। প্রতিপক্ষের উৎসব হয়েছে তাকে চোখের সামনে। রানার্স আপ ট্রফি নিয়ে ব্যর্থ মনোরথে ফিরতে হয়েছে বাড়ি। অথচ বার্সেলোনার হয়ে কত কিছুই না জিতেছেন তিনি। বলা হয়ে থাকে তাকে, ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম মহানায়ক। অথচ তার শোকেসে নেই আর্জেন্টিনার হয়ে একটি ট্রফি। যা লিওনেল মেসিকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছিল পুরো ক্যারিয়ারে। শেষ অবধি মেসির সেই দুঃখ ঘুচল কোপা আমেরিকা ফুটবলে। ডি মারিয়ার এক গোলে মেসির হাতে আরাধ্যের ট্রফি। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপায় বিজয় কেতন আর্জেন্টিনার। ২৮ বছর পর শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা মেসি বিগ্রেড। কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ কে পান কত টাকা?
২৮ বছর পর প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল তারা। সবশেষ ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপাই জিতেছিল তারা। এবার জিতে স্পর্শ করল টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৫ শিরোপা জয়ের রেকর্ডধারী উরুগুয়েকে।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে তো সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বলও জিতেছিলেন মেসি। এবার কোপাতেও তাই।
শিরোপার সাথে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। পৃথিবীতে এখন মেসির চেয়ে সুখী মানুষ মনে আর কেউ নেই।
চার গোল করে ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার পাঁচ অ্যাসিস্ট তো কোপা আমেরিকার ইতিহাসেই রেকর্ড। এত গোল কোনো আসরে ছিল না কারও। এই টুর্নামেন্ট যেন মেসির প্রাপ্তির টুর্নামেন্ট। হাভিয়ের মাসচেরানোকে ছাড়িয়ে গড়লেন দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। স্পর্শ করলেন সবদেশ মিলিয়ে কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
এ তো গেল ব্যক্তিগত পুরস্কারের কথা, দল হিসেবে কে কত টাকা পেল?
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে আর্জেন্টিনা পাচ্ছে ৬৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর অঙ্কটা দাঁড়ায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। রানার্সআপ ব্রাজিল পাচ্ছে ৩৫ লাখ ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০ কোটি।
এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ৩-২ গোলে পেরুকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় হওয়া কলম্বিয়া পেয়েছে ৩০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এ দিকে চতুর্থ দল হিসেবে পেরু পেয়েছে ২১ কোটি টাকা। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়া দলগুলো (ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, চিলি) পেয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা।