করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকবে সব ধরনের শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র। তবে পণ্যবাহী যানবাহন এবং রিকশা চলাচল করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করবে। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।
পহেলা জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সেই কঠোর লকডাউনের সঙ্গে জনসাধারণকে খাপ খাইয়ে নিতে আজ সোমবার থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় কী কী খোলা থাকবে, আর কী কী বন্ধ থাকবে, তা জানিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষে পহেলা জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আসবে সারাদেশ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা নাগাদ শুধু খাবার বিক্রি করতে পারবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানসমূহ শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা নেওয়া করতে হবে। জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই ১ জুলাই থেকে মানুষ বিনা কারণে যেন ঘরের বাইরে বের না হন। উপযুক্ত কারণ ছাড়া বের হলেই গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট থাকবে। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তাহলে কেন মানুষ বিনা কারণে যাতায়াত করবে। পরিবার, সমাজ ও দেশের কথা বিবেচনায় কিছুদিন সব বিধিনিষেধ মেনে চলা দরকার। তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলে দু’জন ওঠা যাবে না। কেউ চাইলে একা মোটরসাইকেলে যেতে পারবেন। তবে রাস্তায় অহেতুক কাউকে দেখতে চাই না।’
এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা ও কর্মপন্থা ঠিক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় তল্লাশি চৌকি ছাড়াও সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। এছাড়া অতি জরুরি কাজে বের হতে হলেও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বের হতে হবে। নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। নিষেধাজ্ঞা না মানলে বল প্রয়োগ করতেও পুলিশ পিছপা হবে না।
পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে এবার রাজধানী ঢাকার প্রবেশ ও বাহির পথগুলোয় কড়াকড়ি থাকবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।