করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্ব কাঁপছে। অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এমন অবস্থায় তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান প্রদেশে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।
মানবজাতির ত্রাস করোনাকে থামাতে গবেষকদের চোখে ঘুম নেই। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরও গবেষকরা থেমে নেই। এরই মধ্যে সামনে এসেছে করোনার চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই প্রথম নয়, প্রায় ২০ হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে থাবা বসিয়েছিল এই মারণ ভাইরাস। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জিনোম সম্পর্কিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ২০ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়াতে করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছিল। সম্প্রতি ‘কারেন্ট বায়োলজি’ নামক জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (কিউইউটি), ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া স্যান ফ্রান্সিসকো এবং ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাডিলেডে যৌথভাবে এই গবেষণা চালায়।
কিউইউটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক জানান, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণার মাধ্যমে মানুষের জিনোমের বিবর্তন জানার চেষ্টা করা হয়। জানা যায়, ২০ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়াতে থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস। সেই ভাইরাসের চরিত্রের সঙ্গে আজকের করোনার চরিত্রের অনেক মিল রয়েছে।
মূলত চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানে ২০ হাজার বছর আগে এই ভাইরাসের দাপট দেখা গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সেক্ষেত্রে সেই সময় সাধারণ মানুষ এই মারণভাইরাসের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পেয়েছিল।
গবেষণায় জানা গেছে, এই ধরনের মহামারীর ফলে মানুষের জিনোম বিস্তর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সে সঙ্গে বহু ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম এমন মহামারী নয়। এর আগেও করোনাভাইরাসের ফলে একাধিক অতিমারী ঘটেছিল। ২০০২ সালে এসএআরএস (সার্স)-এ চীনে মৃত্যু হয়েছিল ৮০০ জনের। ২০১২ সালে এমইআরএস বা মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিস্টেমে আক্রান্ত হয়ে সউদী আরবে মৃত্যু হয় ৮৫০ জনের। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ ১৮।