নিজের অজান্তেই নারিকেল গাছে গৃহবধূ! নামালো ফায়ার সার্ভিস
ঝিনাইদহ: ‘জ্বিনের আছরে’ রাতে নিজের অজান্তেই নারিকেল গাছের মাথায় উঠে পড়েন তাহমিনা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূ! খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে ঘটে।
তাহামিনা একই গ্রামের মো. হাসানের স্ত্রী।
ওই গৃহবধূর পরিবার জানায়, জ্বিনের সমস্যা আছে তাহমিনার। জ্বীন-ই তাকে রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের করে নিয়ে নারিকেল গাছের মাথায় উঠায়।
তবে চিকিৎসকরা বলছে, তাহমিনা মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী। তার মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা প্রয়োজন।
জানা গেছে, আগে থেকেই জ্বিনের সমস্যা রয়েছে তাহমিনার। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ তাহমিনাকে ঘরে না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারের লোকজন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি নারিকেল গাছের মাথার ওপর থেকে আওয়াজ আসে— ‘আমাকে নামা, নিয়ে গেলো আমাকে’। পরে গাছটির মাথায় টর্চলাইট মেরে দেখা যায়, গাছের মাথায় বসে আছেন তাহমিনা! এ অবস্থায় তাকে নামানোর সব চেষ্টা বিফলে গেলে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টার পর তাহমিনাকে গাছের মাথা থেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
গাছ থেকে গৃহবধূকে নামানো বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেমপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রমেশ কুমার সাহা বাংলানিউজকে জানান, গাছ থেকে নামানোর সময় তাহমিনার জ্ঞান ছিল না। উদ্ধার কাজ শেষে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ঝিনাইদহের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাশেদ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, জ্বিন বা পরী নয়, মানসিক সমস্যার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক।