রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ ::
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনে মালবাহী ট্রেনের আয় কমে নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে, চেষ্টা চলছে আয় বৃদ্ধির           পাবনায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মানিক হত্যা মামলার আসামী সজীব গ্রেফতার ভেড়ামারায় ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার, জেল ও জরিমানা আদায় ঈশ্বরদীতে যুবলীগ কর্মী মানিক হত্যা মামলার  আসামি দিপু গ্রেফতার,এর আগে গ্রেফতার হয়েছে হাজেরা  পাবনা জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে বিষাক্ত পোকাড় কামড়ে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু আল্লাহু রাব্বিল আলামিন সকল ক্ষমতার অধিকারী, শাহজাদপুরে পূর্বের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখবেন : ডিআইজি আলমগীর রহমান। বিনা অনুমতিতে অফিসে ঢোকায় ক্ষিপ্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক

দেশের সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে করোনা, তৃতীয় ঢেওয়ের আশংকা

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৬ জুন, ২০২১

ঢাকা অফিস।।

 

দেশে গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহী বিভাগের বেশ কিছু জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্তদের অধিকাংশই ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শিকার বলে জানিয়েছে প্রশাসন৷

রাজশাহী বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ২৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ এর মধ্যে রাজশাহী জেলাতেই ১৩৩ জন৷ আর সীমান্ত এলাকায় করোনার হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৮ জন৷ এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭ হাজার ৩২১ জনে৷ গত ২৪ ঘন্টায় ওই বিভাগে মারা গেছেন ১২ জন৷ এর আগের দিন মারা গেছেন ১৬ জন৷

গত ২৪ ঘন্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয় জন, রাজশাহীতে চার জন, নওগাঁয় একজন ও বগুড়ায় একজন মারা গেছেন৷ এই বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫৯২ জনে মারা গেছে৷

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, জেলায় নমুনা পরীক্ষায় শতকরা ৪০ ভাগ এখনো পজেটিভ আসছে৷ আর হাসপাতালের বেড যত বাড়ানো হয় ততই ভরে যায়৷ প্রথমে করোনা রেগীদের জন্য ২০ বেড, তারপর ৩০ বেড এবং এখন ৫০ বেড করা হয়েছে৷ তাও ভরে গেছে৷

তিনি জানান, পরিস্থিতি সামলাতে তারা তিনটি চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন৷ লকডাউনেও বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগম কমানো যচ্ছেনা৷ আমের মৌসুম হওয়ায় আম ব্যবসায়ীরা লকডাউন মানছেন না৷ সীমান্তে অবৈধ যাতায়ত বন্ধ করা যাচ্ছেনা৷

এদিকে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যাও আবার বাড়ছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সারা দেশে আরো ৪৩ জনের মারা গেছে৷ শুক্রবার মারা গেছে ৩৪ জন৷ এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ হাজার ৮০১ জনে৷ ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৪৭ জন৷ ফলে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ জনে৷

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, রাজশাহীতে ১২, চট্টগ্রামে ৮, খুলনায় ৫, সিলেটে ১, রংপুর ৩ ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন৷

আইইডিসিআর-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের শতকরা ৮০ভাগই ভারতীয় ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ৫০ টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছে৷

গবেষণাকৃত ৫০টির মধ্যে ৪০টিতে নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়৷ এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা এবং একটি অজ্ঞাত ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে৷

এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৬ নমুনায় ১৫টি, ঢাকার ৪টি নমুনার ২টি ও গোপালগঞ্জ থেকে ৭ নমুনার সবকটিই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে৷ আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ আসা সাত জনের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে৷

এই সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন৷ তবে বিএসএমইউ’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, ”এখনো দ্বিতীয় ঢেউই তো শেষ হয়নি, চলছে৷ সংক্রমণ এখনো শতকরা ১১ ভাগের বেশি৷ পাঁচ ভাগের নিচে নামার পর আবার বাড়লে তাকে আমরা নতুন ঢেউ বলতে পারি৷ এখনো তো আবার মৃত্যু বাড়ছে৷”

তিনি মনে করেন, এখন বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে স্থানীয়ভাবে৷ তবে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা আরো বাড়াতে হবে৷ না হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি বোঝা যাবেনা৷

তার মতে,‘‘করোনা তো করোনা৷ সেটা ভারতীয় হোক আর আফ্রিকান হোক৷ এটা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে এখন সারাদেশে করোনা চিকিৎসা, বিশেষ করে অক্সিজেনের ওপর জোর দিতে হবে৷ আর স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নাই৷ মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে৷ যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিতে হবে৷”

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সারা দেশে যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে তা বলার সময় এখনো আসেনি৷ যে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছি তা সারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না৷ তবে সীমান্ত এলাকা এবং ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে৷”

তিনি বলেন,‘‘তাদেরই জিনোম সিকোয়েন্স আমরা করেছি যারা ২৫মে ও পরবর্তী সময়ে ভারত থেকে এসেছেন বা ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন৷ ৫০ জনের মধ্যে যে ৪০ জন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত তাদের ১৪ জনের ভারত যাওয়া বা ভারত থেকে আসা লোকজনের সংস্পর্শে আসার তথ্য নেই৷” ডয়চে ভেলে

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!