ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা।।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও ফরিদপুর-২ ( নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১.১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি (এম.এন. একাডেমি) মাঠে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা পড়ান নগরকান্দা মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ইসমাতুল্লাহ কাসেমী।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লাশবাহী একটি ভ্যানে করে বেলা এগারোটার দিকে তাঁর মরদেহ নগরকান্দায় আনা হয়। এলাকার লোকজন তাদের প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য ভীর জমান।
প্রসঙ্গত,গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১.৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি। ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।তার বাবার বাড়ি ছিল ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।ব্যাক্তিজীবনে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী।সাজেদা চৌধুরীর ছিল এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তাঁর মৃত্যুতে ফরিদপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী।সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। গত তিন বছর যাবৎ অসুস্থতার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে কোন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন না।
প্রথমে তার বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী এবং পরবর্তীতে কনিষ্ঠ পুত্র শাহাদাত চৌধুরী লাবু সালথা নগরকান্দায় মায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল কিংবদন্তি তুল্য। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ফরিদপুরে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে আপসহীন কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।