স্ত্রীর আত্মহত্যাকে হত্যা দাবী করে সংবাদ প্রচার প্রতিবাদে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি।।
অন্যের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা বন্ধ করতে মোবাইল নিয়ে নেওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে গৃহবধু সুমাইয়া মন্ডল (২১)। এই ঘটনাকে হত্যা দাবী করে স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে গৃহবধুর বাবা ও স্বজনরা। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গৃহবধুর স্বামী তালাত মাহমুদ খান আকাশ।
শনিবার (২৭এপ্রলি) সকালে ঈশ্বরদী স্টেশন রোডস্থ আরজু মার্কেটে একটি দৈনিক স্বতঃকন্ঠ পত্রিকার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত গৃহবধূর স্বামী তালাত মাহমুদ খান আকাশ লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রায় এক বছর ৫ মাস পূর্বে তারা ভালবেসে বিয়ে করেন। বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী সুমাইয়া মন্ডল মোবাইল ফোনে একটি ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলে আসছিল। ঘটনার দিন ২২ এপ্রিল/২৪ বিষয়টি আমার নজরে আসে। স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে নিষেধ করি। কিন্তু সে নিষেধ শুনতে চায় না। অশান্তি হবে ভেবে কিছু না বলে স্ত্রী সুমাইয়া মন্ডলের মোবাইল ফোনটি নিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। ডাকাডাকি করেও কোন সাঁড়া শব্দ না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনা হয়। শ্বশুড় বাড়িতে মোবাইলে খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রতিবেশিসহ শ্বশুড়কে সঙ্গে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় থেকে উদ্ধার করা হয়। শ্বশুড়ের অটোরিক্সা যোগেই সুমাইয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আকাশ আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। কিন্তু স্ত্রীর পরিবার থেকে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের অপচেষ্টা স্বরুপ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তালাত মাহমুদ খান আকাশের চাচা মোঃ সান্টু আলী শেখ, মোঃ দৌলত আলী শাহ, মোঃ শরিফুল ইসলাম ও বড় ভাই সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত গৃহবধু সুমাইয়া মন্ডলের বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুসারে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ###