বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ ::
ঈশ্বরদীতে রেল ইঞ্জিনে কাটা পড়ে নানা নাতনির মৃত্যু ঈশ্বরদীতে সংঘবদ্ধ চোরদলের ৩ সদস্য গ্রেফতার, চুরিকৃত ৪ মোটরসাইকেল উদ্ধার ঈশ্বরদীতে রিজিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপপুরের মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৩ জন গ্রেফতার গনমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, একই ব্যাক্তি টিভি ও পত্রিকার মালিক হতে পারবে না চুরি ঠেকাতে সুপারী বাগানে মানুষ মারার বৈদ্যুতিক মরণ ফাঁদ দিয়াড়বাঘইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হলো স্বামী স্ত্রী ও সন্তানের লাশ ঈশ্বরদীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জন নিহত, ২ জন আহত মানুষ নামের নর পশুদের প্রকাশ্যে নির্মমভাবে ফাঁসি দেয়া উচিত ঈশ্বরদীতে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার।। চোরাইকৃত ৪ মটরসাইকেল উদ্ধার

শিশুর কিডনি কেটে ফেলেছে চিকিৎসক

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

রাজশাহী অফিস।।

 

 

টিউমারের অস্ত্রোপচারের সময় রাজশাহীর একজন চিকিৎসক এক বছর বয়সী এক শিশুর কিডনি কেটে ফেলেছেন। চিকিৎসকের নাম সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত ১৩ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় বেসরকারি রয়্যাল হাসপাতালে তিনি উজ্জ্বলের মেয়ে অনুর পেটে অস্ত্রোপচার করেন। রোববার দুপুরে শিশুটির বাবা উজ্জ্বল (৩০) রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় লিখিতভাবে এই অভিযোগ দিয়েছেন। উজ্জ্বলের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড়শিমলা গ্রামে। তার বাবার নাম নরেস। আর অভিযুক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অস্ত্রোপচারের সময় কিডনি ফেলে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টিউমার ছিল কিডনিতে। সেটা ক্যান্সার। সে কারণেই ফেলে দেয়া হয়েছে। আর অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির অভিভাবক যারা ছিলেন তাদের জানিয়ে অনুমতি নেয়া হয়েছে। তবে ওই সময় শিশুর বাবা উজ্জ্বল হাসপাতালে ছিলেন না। আর উজ্জ্বল বলছেন, তার মেয়ের কিডনিতে টিউমার বা সে ক্যান্সারে আক্রান্ত এমন কোন বিষয় তাদের জানানো হয়নি। তাদের না জানিয়েই শিশু অনুর কিডনি কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে শুধু ক্যান্সারের বিষয়টি জানানো হয়েছে দ্বিতীয়দফায় চিকিৎসকের কাছে গেলে। এ কারণে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, সঠিক বিচার পাবেন।

উজ্জ্বলের অভিযোগে বলা হয়েছে, জন্মের পর থেকেই অনু পেটের সমস্যায় ভুগছিল। তার পেট ছিল অস্বাভাবিক বড়। প্রায় নয় মাস আগে উজ্জ্বল তার মেয়েকে রাজশাহীর শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এবি সিদ্দিকীর কাছে নিয়ে যান। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান যে, অনুর পেটে টিউমার রয়েছে। তাই ডা. এবি সিদ্দিকী শিশু অনুকে রয়্যাল হাসপাতালে ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। তার কথামতো উজ্জ্বল তার মেয়েকে ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান।
এ সময় এই চিকিৎসক জানান, তার মেয়ের পেটে অস্ত্রোপচার করে টিউমার অপসারণ করতে হবে। এরপর তার কথামতো, গত ১২ এপ্রিল উজ্জ্বল তার মেয়েকে রয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন বেলা ৩টার দিকে তার মেয়ের পেটে অস্ত্রোপচার করেন ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। এরপর ১৭ এপ্রিল এই হাসপাতাল থেকে তার মেয়েকে ছুটি দেয়া হয়। ছুটি দেয়ার সময় ১৫ দিন পর তার মেয়েকে আবার ডা. সিরাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে যেতে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বাড়ি যাওয়ার পর অনুর শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। ১৫ দিন পর তার বাবা উজ্জ্বল আবার ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে যান। তিনি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বলেন, তার মেয়ের ক্যান্সার হয়েছে। এরপর প্রায় চার মাস আগে উজ্জ্বল তার মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছোট্ট শিশুটি এখনও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে রামেক হাসপাতাল থেকে অনুর পেট আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট আনতে বলা হয়। উজ্জ্বল গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুর এলাকার দ্য এপোলো ডায়াগনষ্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করান।
কিন্তু এ কি! এপোলো ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বলা হয়, তার মেয়ের একটি কিডনিই নেই। একটি কিডনি কেটে ফেলা হয়েছে। এখানকার চিকিৎসকরা জানান, পেটের অস্ত্রোপচারের আগে যে সমস্ত ডায়াগনষ্টিক রিপোর্ট আছে, সেসবে অনুর দুটি কিডনিই আছে। কিন্তু অস্ত্রপচারের পর যে রিপোর্ট হচ্ছে তাতে তার একটি কিডনি দেখা যাচ্ছে না।
উজ্জ্বল বলেন, টিউমারের অপারেশনের সময় ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম আমার মেয়ের একটি কিডনি কেটে ফেলেছেন। এ কারণে আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, আমি একজন সামান্য চা দোকানি। মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানার ওসি স্যার সেটি প্রাথমিক তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযোগকারীকে রোগীর সমস্ত রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!