লালপুর সংবাদদাতা।।
গত ১৩/০১/২০২১ ইং সকাল ০৯.৩০ ঘটিকার সময় লালপুর থানাধীন চষুডাঙ্গা গ্রামস্থ অলি আহমেদ পিতা-মৃত আহমদ উল্লাহ এর গম ক্ষেতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে লালপুর থানা পুলিশ। স্থানীয় লোকজন কেউই উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারেনি। পুলিশ উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের জিন্স প্যান্টের ডান পকেট থেকে একটা মোবাইল উদ্ধার করে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তার স্ত্রী সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে তার নাম ঠিকানা সঠিকতা যাচাই করে। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ছোট ভাই আলিফ এসে লাশটি দেখে সনাক্ত করে জানান যে উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তি তার আপন ভাই। তার নাম মোঃ সুলতান @ইমন(৪৮), পিতা মোঃ আলাউদ্দিন, সাং মাড়িয়া, থানা বাগাতিপাড়া, জেলা নাটোর। এ ব্যাপারে সুলতান@ ইমনের স্ত্রী হিমা বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, ইনচার্জ ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্তে নামে। পুলিশ সুপার জনাব লিটন কুমার সাহা পিপিএম-বার এর নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল জনাব মোঃ খায়রুল আলম ও তদন্তকারী কর্মকর্তা জনাব মোঃ ফারুক হোসেন ইনচার্জ পুলিশ ফাঁড়ি লালপুর থানা নাটোর মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য ব্যাপক অভিযান শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও তদন্তের ধারাবাহিকতায় হত্যা মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে তদন্তকারী কর্মকর্তা জনাব মোঃ ফারুক হোসেন ঢাকা সাভার আশুলিয়া পঞ্চগড় সৈয়দপুর রংপুর জামালপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করে গত ০৫/০২/২০২১ ইং তারিখে আসামি গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ ছানোয়ার হোসেন @ থানা (৪৬), পিতা মোঃ মোবারক হোসেন@ মোবা, সাং কৃষ্ণপুর থানা বাগাতিপাড়া জেলা নাটোর কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে সে মৃত ব্যক্তির কাছে মাত্র ২০০০/- টাকা পেত। আসামি তার পাওনা টাকা না পাওয়ায় তাকে মোবাইলফোনে কৌশলে ডেকে এনে বড়াইগ্রাম থানা দিন বনপাড়া বাজারে ডেকে নেয়। অতঃপর আমি তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় সুলতানকে ইং ১২/০১/২০২১ তারিখ রাত অনুমান নয়টার দিকে মামলার ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং আসামি তার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সুলতানের সাথে কথা কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে আসামি ছানোয়ার হোসেন @ ছানা তার সহযোগী অপর আসামিদের সহায়তায় সুলতান ওরফে ইমনকে মারপিট করা সহ গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অদ্য ০৬/০২/২০২১ ইং তারিখে আসামি ছানোয়ার@ ছানা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে । সে সুলতান @ ইমনকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ ফারুক হোসেন ইনচার্জ ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি লালপুর থানা নাটোর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা যায়।