রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ ::
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনে মালবাহী ট্রেনের আয় কমে নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে, চেষ্টা চলছে আয় বৃদ্ধির           পাবনায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মানিক হত্যা মামলার আসামী সজীব গ্রেফতার ভেড়ামারায় ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার, জেল ও জরিমানা আদায় ঈশ্বরদীতে যুবলীগ কর্মী মানিক হত্যা মামলার  আসামি দিপু গ্রেফতার,এর আগে গ্রেফতার হয়েছে হাজেরা  পাবনা জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে বিষাক্ত পোকাড় কামড়ে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু আল্লাহু রাব্বিল আলামিন সকল ক্ষমতার অধিকারী, শাহজাদপুরে পূর্বের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখবেন : ডিআইজি আলমগীর রহমান। বিনা অনুমতিতে অফিসে ঢোকায় ক্ষিপ্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক

রামেক হাসপাতালে বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদা

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

 

 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে। করোনা শুরুর প্রথমে অক্সিজেন না লাগলেও এ বছরের মার্চ থেকে শুরু হয় অক্সিজেন চাহিদা। প্রথমে দুই হাজার লিটার অক্সিজেন লাগলেও এখন লাগছে আট হাজার লিটার। আর এই অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
করোনার উচ্চ সংক্রমণ প্রবণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শনাক্ত হয় মে মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তারপর দ্রুত বিস্তার ঘটে রাজশাহী বিভাগে। জুনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মৃত্যু কমে গেলেও রাজশাহীতে বাড়তে থাকে। রাজশাহী মেডিকেলে বাড়তে থাকে রোগীর চাপও। চাহিদা বাড়ে অক্সিজেনের। এ অবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ক্রমাগত সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহই কর্তৃপক্ষের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, যেসব রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে তাদের প্রতি দেড় ঘণ্টার জন্য এক সিলিন্ডার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। এই হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজন রোগীর জন্য ১৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার হচ্ছে। এটা বেশ ব্যয়বহুল আবার অক্সিজেন সিলিন্ডার ম্যানেজ করাও কঠিন।
রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৩ জন। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাতজন। জুলাই মাসের প্রথম তিনদিনে করোনা উপসর্গে মারা গেলেন ৫২ জন। জুনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪০৫ জন।
রাজশাহী মেডিকেলে আসা আক্রান্তদের ৯৯ ভাগেরই অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হচ্ছে। প্রথমদিকে সিলিন্ডারের অক্সিজেন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সিলিন্ডারে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা নিয়ে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, রোজার আগে আমাদের প্রতিদিন দুই হাজার লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হতো। এখন সেটি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে আট হাজার লিটার। এক মাস আগে এই চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ ৫ হাজার লিটার। আমরা প্রতিদিন জাতীয় অক্সিজেন সরবরাহ ডিপো থেকে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন পাচ্ছি। এছাড়াও ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন রিজার্ভ রাখা হয়। তবে যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে করে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে আমাদের।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, আমরা আগত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের চেষ্টাই করে যাচ্ছি। সাধারণ ওয়ার্ড খালি করে করোনা ওয়ার্ড বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু রোগীর চাপ বাড়ায় শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা কঠিন হচ্ছে। আগত রোগীদের প্রায় সবাইকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। তাই অক্সিজেন সরবরাহই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সংক্রমণের মাত্রা না কমায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!