রাজধানীর মগবাজারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকার আড়ংয়ের শো-রুমের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৩টি ইউনিট কাজ করছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি।
রমনা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার ফয়সালুর রহমান বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণ ভবনটির নিচতলার ভেতরেই ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মোট ছয়জনকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। আহতদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৩২ জনকে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মগবাজারের ঘটনায় বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগে আরও অনেক রোগী আসছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৩টি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম আজম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এখানে অর্ধশতাধিক আহতের খবর পাচ্ছি। তবে এখনো নিশ্চিত নয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী জান্নাত আরা বলেন, ঘটনাস্থলের অদূরে একটি ভবনে নীচে তিন দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বিকট তিনি শব্দ শুনতে পান। তিনি যে ভবনের নিচে ছিলেন, সেটির কিছু পলেস্তারা ধসে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের ওপর পড়ে। এরপর ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন উড়াল সড়কের ওপরে ও নিচে যাত্রীবাহী বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মগবাজার ওয়ারলেসের উল্টো দিকে একটি তিন তলা ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভবনটির নিচে এসি এবং গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল।