বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ ::
পাবনায় দুটি কোম্পানিকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা  ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে পিকআপ ভ্যান ও নসিমনের সংঘর্ষে গুরুুতর  আহত-১ বায়েজিদ সভাপতি সবুজ সাঃসম্পাদক, ঈশ্বরদী টিভি রিপোটার্স ক্লাবের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে মানবাধিকার  শির্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী নিহত, আহত- ৮ ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদের কার্যক্রম নেই, তবুও নেয়া হয় ছাত্র সংসদ ফিস ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গুতে বাবার মৃত্যু, ছেলের অবস্থাও সংকটাপন্ন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনে মালবাহী ট্রেনের আয় কমে নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে, চেষ্টা চলছে আয় বৃদ্ধির           পাবনায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মুসার দশ স্ত্রী ৯৮ সন্তান ও ৫৬৮ নাতি নাতনি

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

মুসার আছে ১০ স্ত্রী, ৯৮ সন্তান ও ৫৬৮ নাতি-নাতনি

আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বুটালেজা জেলার বাসিন্দা মুসা হাসাদজি। বর্তমানে ৬৭ বছর বয়স তার। উগান্ডার এই নাগরিকের রয়েছে ১০ জন স্ত্রী, ৯৮ জন সন্তান এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি। সব মিলিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা সাত শতাধিক।

মুসা বলেছেন, তার ১০ জন স্ত্রী রয়েছেন এবং তারা সবাই একই বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন। ১০ স্ত্রীর ঘরে আছে ৯৮ জন সন্তান। এই সন্তানদের থেকে মুসার ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি জন্ম নিয়েছে। মুসা বহুবিবাহকে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উগান্ডায় তিনিই একমাত্র স্বামী, যার এতো জন স্ত্রী রয়েছেন। মুসাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সব সন্তান ও নাতি-নাতনির নাম জানেন কিনা? জবাবে বলেন, তিনি সবাইকে আলাদা করে চিনতে পারেন। তবে সবার নাম মনে থাকে না।

১৭ বছর বয়সে মুসা বাবা হন। মুসার ছেলে-মেয়েদের অনেকেই বিবাহিত, অনেকে আবার এখনও লেখাপড়া করছে। মুসা বাড়ির কাছে সন্তানদের জন্য কুঁড়েঘরও তৈরি করেছিলেন। মুসার প্রথম স্ত্রীর নাম হানিফা হাসাদজি, কনিষ্ঠ স্ত্রীর নাম কাকাজি। কাকাজির বয়স মুসার অনেক নাতি-নাতনির বয়সের চেয়েও কম। কাকাজি জানিয়েছেন, মুসা যদি আবারও বিয়ে করেন তাতে তার কোনও সমস্যা নেই। কারণ মুসা সবার খেয়াল রাখেন। মুসার সব স্ত্রী আলাদা আলাদা খাবার রান্না করেন। কিন্তু সবাই একই বাড়িতে থাকেন। মুসার এই স্ত্রীরা এসেছেন উগান্ডার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।

মুসা যখন প্রথম বিয়ে করেন তখন যৌতুক হিসেবে স্ত্রীকে তিনটি গরু ও চারটি ছাগল দেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করার পরিবর্তে একই পরিমাণ যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। মুসা বলেছেন, দুটি বিয়ে করার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গরু-ছাগল খেতে না পেয়ে দ্রুত মারা যাচ্ছে। এরপর পরের বিয়েতে তিনি যৌতুক হিসেবে দুটি গরু দেন। তিনি বলেন, যখন তার ৩০ জন সন্তান ছিল, সে বছর খুবই কঠিন সময় গেছে। ফসল ঠিকমতো উৎপাদন করা যায়নি। ব্যবসা করেও লাভ হয়নি। সংকটের ওই পর্যায় এখন আর নেই।

মুসা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে মাত্র দু’জন সদস্য ছিলেন। পরিবারের আয় কম ছিল, যার কারণে তাকে মাঝপথে স্কুল ছাড়তে হয়। প্রথম বিয়ের পর বাজরা বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন মুসা। প্রথম দিকে গুলু স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বাজরা কাম্পালায় নিয়ে যেতেন। মুসার ওই ব্যবসা সফলতার মুখ দেখে। এরপর তিনি গরু কেনেন। তাতে সফলতা আসলে মুসা বিয়ে করেন। উগান্ডার এই নাগরিক বলেন, মাঝে তিনি মাটন ও মুরগীর ব্যবসাও শুরু করেন। সেই থেকে তিনি আজ সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। মুসার বেশ কয়েক একর জমি আছে, যেখানে তিনি ফসল ফলান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!