ভাড়াটিয়া কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কে হেনস্থা ও জমি জবরদখলের ষড়যন্ত্র; ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাড়াটিয়া কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কে হেনস্থা ও জমি জবরদখলের ষড়যন্ত্র; ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়ায় আজ শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সংবাদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈশ্বরদী বাবু পাড়ার খলিলের মোড়ে অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শওকত হোসেনের ছেলে ড. মোঃ রাশনাল হোসেন ও তার পরিবার। এসময় তিনি বলেন,ঈশ্বরদী বাবু পাড়ার মোড়ে অবস্থিত আমার পৈতৃক ভিটা বাড়ি রয়েছে। আমার পরিবারটি মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। কিন্ত দীর্ঘ সময় ভাড়াটিয়া কর্তৃক আমি ও আমার পরিবারটি নানবিধ হুমকি ও হেনস্থার শিকার হয়েছি। “গত অক্টোবর ২০১৬ ইং তারিখে আমি আধুনিক ফার্নিচারের প্রোপাইটার জিয়াউল করিম কামরুলের সাথে ১০ বছরের চুক্তি করি, এবং তৎকালে তিন মাসের ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের কথাটি চুক্তিতে আমি উল্লেখ করতে চাইলেও কামরুল আমাকে উক্ত চুক্তি পত্রে তা সংযুক্ত করতে দেন নাই আমিও সরল বিশ্বাসে তার কথায় রাজি হয়ে উক্ত চুক্তি পত্র সম্পাদন করি। এবং আমার জানা মতে উক্ত চুক্তি পত্রটি নোটারি পাবলিক বা রেজিস্ট্রি কৃত নয়, যদি কামরুল তা করে থাকেন তবে সেটা অবশ্যই আমার অজান্তে তিনি প্রতারণা মুলক ভাবে করেছেন বলে মনে করি। এবং কামরুল আমার উক্ত দোকান ঘরটি ভাড়া নেওয়ার সময় আমাকে বলেছিলেন যে, সে আমার উক্ত দোকান ঘরটি শুধুমাত্র ফর্নিচারের শো-রুম হিসাবে ব্যবহার করবে। কিন্ত পরবর্তিতে চুক্তিপত্র সম্পাদন হওয়ার পর সে আমার উক্ত দোকান ঘরটি শোরুম হিসাবে ব্যবহার না করে সে কাঠের কারখানা হিসাবে ব্যবহার করছে ও আমার উক্ত দোকান ঘরটিতে উচ্চ শব্দের কাঠের মেশিনারিজ ব্যবহার করছে যা আমাকে সে কোনো প্রকার জানানোর প্রয়োজন মনে করে নাই। পরবর্তিতে তার উক্ত উচ্চ শব্দের কাঠের মেশিনারিজ ব্যবহার করার কারণে আমার প্রতিবেশি ও ইসলামি কমিউনিটি হাঁসপাতাল কর্তৃপক্ষ কামরুলকে তার উক্ত উচ্চ শব্দের কাঠের মেশিনারিজ ব্যবহার করতে নিষেধ করলে কামরুল তা কর্ণপাত না করে তার উক্ত কার্য্যক্রম চালিয়ে যান। পরবর্তিতে আমার প্রতিবেশি ইসলামি কমিউনিটি হাঁসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে মোখিক ভাবে অভিযোগ করেন, এবং কামরুলের উক্ত উচ্চ শব্দের কাঠের মেশিনারিজ ব্যবহার ও কাঠের গুঁড়ার দূষণ বন্ধ করতে বলেন। আমি কামরুলকে তার উক্ত কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বললে কামরুল আমাকে বলে যে, আমি আমার কার্যক্রম বন্ধ করবো না এবং যথারিতি চালিয়ে যাবো পারলে আমার কিছু করেন। পরবর্তিতে আমি কামরুলের উক্ত কথা শুনে আমার পরিবারের লোক জনের সঙ্গে পরমর্শ্য করে যেহেতু আমার উক্ত চুক্তি পত্রে উল্লেখ নাই তথাপি আমি স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষর্থে কামরুলকে আমার উক্ত দোকান ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য ডাক যোগে তিন মাসের নোটিশ প্রদান করি, কিন্ত কামরুল উক্ত দোকান ঘর ছাড়ার তিন মাসের নোটিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে ডাক পিওনের নিকট হতে গ্রহন না করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে বলে যে,“আমি তোর ঘর ছাড়বো না তোর কোন বাপ আছে ডেকে আন, আমার পারলে কিছু করিস।” পরপর আমি তাকে দোকান ঘর ছাড়ার তিনটি নোটিশ প্রদান করলে কামরুল আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা প্রাণনাশের হুমকি সহ আমার নিজ বাড়ি হতে আমাদেরকে স্ব পরিবারে উচ্ছেদ করার হুমকি প্রদান করে। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে (ঈশ্বরদী থানায়) মৌখিক ভাবে আভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ হয়নি। পরে কামরুল আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে বলে সব যায়গায় আমার লোক আছে তুই আমার কিছু করেত পারবি না । অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমি কয়েকবার ঈশ্বরদী পৌরসভাকে জানিয়েছি কিন্ত এখন পর্যন্ত সমাধান হয়নি, এবং পরিবেশ আধিদপ্তরকে অভিহীত করেছি কিন্ত আশানুরুপ ফল পাইনি। আমাকে হেনস্তা করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে কামরুল। মামলা নাম্বর গুলো হলো জি আর ১২৬/২১,সি আর ১১৫/২১, ১৫২১/২১,৪৩/২১। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শওকত হোসেনের স্থ্রী ও ড. মোঃ রাশনাল হোসেন মা রাবেকা সুলতানা বলের আমি একজন বৃদ্ধা মহিলা কামরুল আমাকে মিথ্যা চোর অপবাদ দিয়ে বলে আমি নাকি তার কারখানার কাঠ, টেবিল চুরি করেছি। কামরুল আমাকে মিথ্যা চোর অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়, নানা ভাবে আমাদের হেনস্তা করছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এ সময় বলেন ড. মোঃ রাশনাল হোসেন আমি শুধু উচ্চশিক্ষিতই নই, আমি দেশের সম্পদ, দেশের উন্নয়ন কল্পে আমার লেখা দেশের বিদেশের বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে; আবার আমার অন্যতম পরিচয় হল আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এবং একজন ট্যাক্স পেয়ার; সেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এবং মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী সমিপে আমার নিবেদন; ভূমিদস্যু,সমাজ বিরোধী, ও চরমপন্থি মনোভাবের জিয়াউল কামরুলের হিংস্র লোলুপ দৃষ্টি থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে মুক্তি পেতে সহায়তা করুন।“ কামরুলের দুরভিসন্ধি মুলক ষড়যন্ত্র থেকে আমি ও আমার পরিবারের পরিত্রাণের ব্যাপারে, স্থানীয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাই।