দেশে দিন দিন আখ চাষ কমছে। এক বছরের ব্যবধানে ৪২ শতাংশ জমিতে আখের আবাদ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সাঈদা খাতুন।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ঈশ্বরদীস্থ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘তৃতীয় কোয়ার্টারে অংশীজনের অংশগ্রহণে ইক্ষুজাতের প্রধান প্রধান ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে আধুনিক কলাকৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি আখের আবাদ কমে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিএসআরআইর পরিচালক (টিওটি) ইসমৎ আরার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসআরআইর মহাপরিচালক ড.ওমর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ ও নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. আতাউর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান।
কর্মশালায় কৃষি অর্থনীতি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম আখ চাষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ কমেছে। ২১-২২ অর্থ বছরে মিলজোন এলাকায় ২০ হাজার হেক্টর ও নন মিল জোন এলাকায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। অথচ ২০-২১ অর্থবছরে মিল জোন এলাকায় আখের আবাদ হয় ৫২ হাজার হেক্টর জমি ও নন মিল জোন এলাকায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি বছরই আখের আবাদ কমছে।