রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ ::
দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী হেলাল আর নেই।। জংশন ডিডিপি গুরুআশ্রমের গভীর শোক প্রকাশ ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাবিবুর রহমান হাবিব–বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঈশ্বরদীর মহিলা কলেজকে সরকারি করণ করা হবে উত্তরণ পাবনার আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত ঈশ্বরদীতে উদ্ভোধন হলো স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্রয় সুবিধার জন্য সুলভ বাজার প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার দাপটে ধ্বংসের মুখে চররুপপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ যেই লোম হর্ষকঘটনা জাহিলিয়াতকেও হার মানায়,সত্য কখনও গোপন থাকে না  ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা আটক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈশ্বরদী আন্তঃ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক সিন্টু গুরুতর আহত!

বিএনপি নেতারা বলেন -২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন—-প্রধানমন্ত্রী

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

বিএনপি নেতারা বলেন-২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী

‘২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাহলে যুদ্ধটা করলো কে?

বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সোয়া একটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি নেতারা বলেন-২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনলো? মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেফতারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো।

যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করলো কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশতো এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি।’ যোগ করে প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তকা পেয়েছি। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল-মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়।

তিনি বলেন, একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়ে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!