ঈশ্বরদীতে প্রয়াত কলেজ শিক্ষক মোহাম্মাদ হবিবুল্লাহের স্ত্রী হাজেরা খাতুনের (৭৬) হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধনসহ পথসভা করা হয়েছে। বুধবার(১২এপ্রিল) সকালে নাগরিক সমাজ পাকশীর ব্যানারে ঈশ্বরদী ইপিজেড গেট সংলগ্ন নিহতের বাড়ির পাশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
নিহত হাজেরা খাতুনের ভাই পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম হব্বুলের সভাপতিত্বে হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন পাবনা-৪, ঈশ্বরদী আটঘড়িয়া আসনের সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন কোম্পানি কমান্ডার এডভোকেট কাজী সদরুল হক সুধা, আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ রশিদুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান টোকন সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য বীরমুক্তিযোদ্ধা, পাকশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল জামান পিন্টু, স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, নিহতের আত্মীয় স্বজন, সুধিমহলসহ কয়েশত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল সোমবার ইফতারের আগে নিজ বাড়ির শোবার কক্ষে দুর্বৃত্ত বৃদ্ধা হাজেরা খাতুনের মাথায় নির্মম আঘাত করে রক্তাক্ত করে হত্যা করে। পরের দিন নিহতের ছেলে শিবা আল রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত হাজেরা খাতুনের ছোট ভাই পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম হব্বুল জানান, হত্যা কান্ডের ঘটনার ১০ দিনেও পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। হত্যার রহস্যও উৎঘাটনের কোন তথ্য পুলিশ নিহতের পরিবারের কাউকে দেয়নি। তাই হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, হত্যাকারীকে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই হত্যাকারী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের তিনটি দল দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলমান রেখেছে। আশা করা যাচ্ছে দুই এক দিনের মধ্যেই হত্যাকারী গ্রেফতার হবে।