কুষ্টিয়া সংবাদদাতা।।
তিন ভাই এক সঙ্গে একটি ছোট টিনের ডিঙি নৌকায় চড়ে মাঠে পটল তুলতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যাওয়ার পথেই নৌকাটি পানিতে ডুবে যায়। দুই ভাই সাঁতরে কিনারে উঠলেও আবু বক্কর প্রামাণিক (৫৮) নামের এক ভাই পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা পদ্মা নদী থেকে আবু বক্করের লাশ উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর এলাকার পদ্মা নদীর কোলে এ ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। নিহত কৃষক উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত হাকিম প্রামাণিকের ছেলে ও চার সন্তানের জনক। ডিঙি নৌকার অপর দুইজন আরোহী হলেন নিহতের বড় ভাই বিল্লাল প্রামাণিক ও কাদের প্রামাণিক।
ফায়ার সার্ভিস ও নিহতদের স্বজনরা জানায়, টিনের তৈরি ছোট ডিঙি নৌকা চড়ে হাসিমপুর এলাকার পদ্মার কোল দিয়ে আপন তিন ভাই চরে যাচ্ছিলেন নিজ জমির পটল তুলতে। এসময় তাঁদের কাছে স্প্রে মেশিন, কাস্তে ও মোবাইল ফোন ছিল। নদী দিয়ে যাওয়ার সময় নৌকাটি কাঁত হয়ে গেলে বড় ভাই বিল্লাল স্প্রে মেশিন ও মোবাইল নিয়ে লাফ দিয়ে সাঁতরে কিনারে চলে যায়। কাঁদের নামের আরেক ভাইও সাঁতরে কিনারে উঠে পড়ে।
কিন্তু আবু বক্কর প্রামাণিক পানিতে ডুবে যায়। এর পর দুই ভাই স্থানীয়দের খবর দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কোলের পানিতে ডুব সাঁতার দিয়ে খোঁজাখুজি করে কৃষকের লাশ উদ্বার করে এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই ও ডোবা নৌকার আরোহী বিল্লাল প্রামাণিক বলেন, তিন ভাই ডিঙি নৌকায় চড়ে পটল তুলতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ নৌকাটি কাঁত হয়ে গেলে আমি স্প্রে মেশিন ও মোবাইল নিয়ে লাফ দিয়ে সাঁতরে কিনারে চলে যাই। ভাবলাম ওরাও সাঁতরে চলে আসবে। কিন্তু কাঁদের আসলেও ছোট ভাই বক্কর আর ফিরে আসেনি। পরে লোকজনের ডাকাডাকি করছিলাম। লোকজন ওর লাশ তুলে এনেছে। ‘
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, ‘নৌকায় তিনভাই মাঠে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে এক ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পানিতে ডুবেই হয়তো তিনি মারা গেছেন।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসিন হোসাইন বলেন, ‘ঘটনাটি নদীতে হওয়ায় নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ‘