মুনমুন আক্তার।। পাবনা-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেছেন, বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন করতে আসেনি।সে এসেছিল নির্বাচনের নামে দলীয় অর্থ হাতিয়ে নিতে অর্থাৎ নির্বাচনী বাণিজ্য করতে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর’২০ অনুষ্ঠিত পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোট কাটা, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ উত্থাপন করে পুনঃনির্বাচন দাবি করায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস হাবিব কে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমিই এই হাবিবকে তুলে দিয়েছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুকম্পায় হাবিব ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিল এবং ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নও পেয়েছিলো কিন্তু তার অযোগ্যতার কারণে বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সরদার এর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এই হাবিব জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। আবার বিএনপিতে এসেও বেইমানি করেছে। সে বিএনপির প্রার্থী সিরাজ সরদারকে ভোট না দিয়ে তার পক্ষে কাজ না করে সে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে কুড়াল মার্কা নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলো। আজকে তার পক্ষে মাঠে কাজ করার মতো কোনো কর্মী নাই। তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া মত বিরাট নির্বাচনী এলাকায় যেখানে হাজার হাজার পোস্টার ছেপেও সব জায়গায় কভার করা যায় না সেখানে হাবিব মাত্র ৫০০/৭০০ পোস্টার ছেপে তাও আবার কর্মীর অভাব লাগাতে না পেরে এখন নৌকার লোকেরা ছিঁড়েছে বলে অভিযোগ করছে। বৃষ্টিতে যেখানে আমার হাজার হাজার পোস্টার ছিঁড়ে গেছে সেখানে তার পোস্টার লাগাই নাই অথচ আমার নেতাকর্মীদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমার পোস্টার ছিঁড়ে গেছে কই আমি তো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। আলহাজ্ব নুরুজ্জামানরুজ্জামান বিশ্বাস এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, সে তো নির্বাচনের দিন বাড়ি থেকে বেরই হয়নি , কোন কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট দিতে পারিনি। তাহলে সে বুঝলো কি করে যে ভোটাররা ভোট দিতে যায়নি ? তিনি বলেন, এই হাবিবের মত বেইমান মোনাফেকরা কোন সময় বর্তমান সরকারের কোনো কর্মকাণ্ড ভালো চোখে দেখতে পারেনা। তাই আবোল তাবোল কথা বলে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন ঈশ্বরদীর মানুষ জানে নুরুজ্জামান বিশ্বাস কেমন লোক। ভালো কি মন্দ তা তারাই বিচার করে।আর তা করে বলেই আমি এই ৬২ বছর রাজনৈতিক জীবনে স্কুল-কলেজ উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বারবার নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছে। আমি হাবিবের মত কোন পোল্ট্রি খাওয়া লোক না। তিনি বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব কে রাজনৈতিক অঙ্গনের দুর্গন্ধযুক্ত নষ্ট মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।