নিখোঁজের সাত দিন পর পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের চালক সাগর মন্ডলের (২৬) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার ২৮ এপ্রিল বিকাল ৪ টায় উপজেলার পাকশী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত মরদেহ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সাগর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের সিরাজ মন্ডলের ছেলে।
নিহতের ভাই মাহফুজ ইসলাম বলেন, গত ২১ এপ্রিল সকালে আমার ভাই সাগর তার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বের হয়। সন্ধ্যায় আমার বাবার সাথে কথা হলে সাগর জানাই সে ভেড়ামারার সাতবাড়িয়া থেকে বাড়ির দিকে আসছে। কিন্তু সে বাড়িতে না ফিরলে তার মোবাইলে কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পেলে ২২ তারিখে দৌলতপুর থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরী করি। আজ পাকাশীর পরিচিত একজন ফোন করে জানাই একজনের লাশ পাওয়া গেছে এসে দেখে যেতে। আমরা এসে দেখি আমার ভাইয়ের লাশ।
নিহতের শশুড় তৌহিদুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, শনিবার রাত দেড়টার দিকে আমার জামাইয়ের বাড়ি থেকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে সাগর আমাদের বাড়িতে গেছে কিন। আমি বলি নাতো। এরপর থেকে আমার জামাইকে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। আজ পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে বলে পাকশীতে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। এসে দেখি আমার জামাইয়ের লাশ।
শশুড় তৌহিদুল আরও জানান, আমার জামায়ের লাশের পাশে তার মোবাইল ও স্যান্ডেল পাওয়া গেছে কিন্তু তার ইজিবাইকটি পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আজ বিকেল চারটায় পাকশী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কলাবাগানের কাছে ঘাস কাটতে গিয়ে একটি অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেলে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার একটি নিখোঁজ ডায়েরীর সূত্র ধরে সেই পরিবারকে খবর দিই। পরে নিহতের পরিবার এসে মরদেহ শনাক্ত করলে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ধারনা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি গোপন করতে হত্যাকারীরা পাকশীর কলা বাগানে ফেলে গেছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট মরদেহটি হস্তান্তর করা হবে।