রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের দোভাষী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্নস্বাতের অভিযোগে মামলা দায়ের ।
——————————————————
নিজস্ব সংবাদদাতা: পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে রোস এনারগো এটম নামে একটি রাশিয়ান কোম্পানীতে দোভাষী হিসেবে কর্মরত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্নস্বাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
মোহাম্মদ রন্জু নামে এক ব্যক্তি গত ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৫৬৮/২০২২(ঈশ্বরদী)

মামলার বিবরণে জানা যায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের “রোস এনারগো এটম” নামে একটি রাশিয়ান কোম্পানিতে দোভাষী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ময়মনসিংহ জেলার গফরগাও থানাধীন তেরশ্রী গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম উক্ত পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে মালামাল বহন ও খালাসের পরিবহন ব্যবসায় নিযুক্ত করার কথা বলে পাবনা সদর উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে মোহাম্মদ রন্জুর কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি হিসেবে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। টাকা নেয়ার সময় মোহাম্মদ রন্জুকে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করে দেয় হামিদুল ইসলাম। চুক্তির শর্ত মোতাবেক তিন মাসের মধ্যে রন্জুকে পরিবহণ ব্যবসায় সম্পৃক্ত করার কথা।
দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও রন্জুকে পরিবহণ ব্যবসা ও টাকা ফেরৎ কোনটাই না দেয়ায় অবশেষে আদালতের স্মরণাপন্ন হয় ভুক্তভোগী রন্জু।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় দোভাষী হওয়ার কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সাথে হামিদুল ইসলামের অবাধ মেলা মেশা এবং সখ্যতা রয়েছে। সে নিজেকে কখনো পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের কর্মকর্তা এবং কখনো রোস এনারগো এটম কোম্পানীর কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়।
এলাকাবাসী আরও জানান পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে চাকরি দেয়ার নামে কয়েক জন দোভাষীকে সাথে নিয়ে হামিদুল ইসলাম নিয়োগ বানিজ্যের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। ঈশরদীর জয়নগর, কুষ্টিয়ার তেরঘরিয়া ও পাবনা শহরে তাদের তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শত শত প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে চাকরি দেয়া এবং ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার নামে এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হামিদুল ইসলাম ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব ও দিশেহারা ভুক্তভোগীরা।