করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ জন মারা গেছেন। ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৮৪৬ জনে। এ সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৫২৫ জনের। শনাক্তের হার ১২.৭৮ শতাংশ। এর মাধ্যমে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার করোনায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়, যা গত ৫৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৮ জুন ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২শর নিচে নামা শুরু করে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ জন। দেশের ৭৮৯টি পরীক্ষাগারের আওতায় ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭ হাজার ২৯৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৪৩টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৪০ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ১১, বরিশালে ৬, সিলেটে ১০, রংপুরে ৫ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন। নারী ও পুরুষের হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ এবং ৬১ জন নারী। এদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন ৭ জন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮১৬ জন এবং নারী ৯ হাজার ৩০ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।