দিনাজপুর অফিস।।
দিনাজপুর প্রেস ক্লাব, দিনাজপুর জজ কোর্ট জামে মসজিদ ও পাক-পাহাড়পুর জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রয়াত আলহাজ্ব কবি মোঃ নূরুল আমিনের জ্যেষ্ঠপুত্র এবং রেবেকা সুলতানার পিতা মোঃ ফজলুর রহমান চাঁদ (বয়স ৮০) আজ ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের সি.সি.ইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্হায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ব্ন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে এক কন্যা, আত্মীয়সজন, পাড়াপ্রতিবেশি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বাদ আছর পাক-পাহাড়পুর জামে মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং জানাজা শেষে দিনাজপুর শহরের শেখ জাহাঙ্গীর কবরস্থানে তাঁর পিতা, মাতা, স্ত্রী ও পুত্রের পাশে তাঁকে সমাধিস্হ করা হবে।
মোঃ ফজলুর রহমান চাঁদ একজন অজাতশত্রু, নিরহংকার, সমাজসেবী, খোদাভীরু ও ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে অতি সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে কেউ কখনও খালি হাতে ফিরে যাননি। চরম শত্রুকেও তিনি ক্ষমা করে বুকে টেনে নিতেন।
তিনি বড় মাপের সরকারি ঠিকাদার ছিলেন। বীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালটির গুনগতমান সঠিক রেখেই নির্মান কাজটি তিনি সম্পন্ন করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর ইটের ভাটা ছিল। পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত নেশা হিসেবে তিনি সংবাদ সংস্হা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউ.এন.বি) এর বৃহত্তর দিনাজপুরের জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
তিনি দিনাজপুর জিলা স্কুলে অধ্যায়নকালীন সব ক্লাসেই ফাস্ট বয়, ক্লাস ক্যাপ্টেন ও জুনিয়র ক্যাডেট কোরের কমান্ডার ছিলেন। এছাড়াও বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার ব্যডমিন্টন খেলায় তিনি পর পর পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ানও হয়েছিলেন, যেই রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভঙ্গতে পারেন নাই।
তাঁর মতো ইংরেজি জানা লোক দিনাজপুরে দ্বিতীয়টি ছিল না। সপ্তম শ্রেণি থেকেই রিডার ডাইজেস্ট, টাইমস, নিউজ উইক, পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকা নিয়মিতভাবেই পড়তেন। বন্ধু, সুধি ও জ্ঞাণী মহলে “ইংরেজির জাহাজ” নামেই তিনি অধিক খ্যাত ও পরিচিত ছিলেন।
মোঃ ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে দিনাজপুরবাসী সত্যিকারের একজন, গুণী, জ্ঞাণী, পরোপকারী, ও বিশাল হৃদয়ের একজন সৎ মানুষকে হাড়ালেন – যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
আমরা তাঁর আত্মার শান্তি ও বেহেস্ত কামনা করছি, সেই সাথে তার কন্যা ও আত্মীয় স্বজনেরা যেন এই শোককে সহ্য করতে পারেন, সেই তৈফিক দানের জন্যও আল্লাহপাকের দরবারে রহমত কামনা করছি, আমীন!