বৈশ্বিক মহামারি করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু শুরু হয়েছে।া চলতি মাসে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে এ মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি বলে জানা গেছে। এই মৃত্যুগুলোর বেশির ভাগই হয়েছে রাজধানী ঢাকায়।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে এ বছরে মৃতের সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে আরো ২৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর নতুন আক্রান্তদের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (একদিনে) নতুন করে ২৭০ জনের দেহে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন।
এনিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমােট ভর্তি হওয়া রােগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৩৮ জনে। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ১৪৫ জনসহ অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমােট রােগী ভর্তি হয়েছেন ৯৩ জন।
এর আগে ১৮ আগস্ট সারাদেশে ৩০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তার আগের দিনও (১৭ আগস্ট) রেকর্ড ৩২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমােট রোগী ভর্তি হয়েছে ৭ হাজার ২৫১ জন। তাদের মধ্য থেকে একইসময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৯৮২ জন রোগী। এছাড়াও চলতি বছরের এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।
এদিকে, দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর তুলনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৪৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বমোট ৩১টি মৃত্যুর সংখ্যা আমরা রেকর্ড করেছি। আমরা যদি রোগীর সংখ্যার দিকে তাকাই তাহলে এই ৬ হাজার ৪৫০ জন রোগীর বিপরীতে এতো মানুষের মৃত্যু, এটি অত্যন্ত শঙ্কার কারণ। তিনি আরো বলেন, বর্ষাকাল এলে আমরা দেখি যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রূপ নেয়। ২০১৯ সালে আমরা দেখেছি যে একটি ডেঙ্গু মহামারি হয়েছিল। ২০২১ সালে এসেও একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি। তবে আমরা মনে করি দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সেটি মোকাবিলা করতে পারব।