র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে : আইনমন্ত্রী
নওগাঁর সুলতানা জেসমিনকে আটকের ঘটনায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মামলাটি দায়ের হয়েছে জেসমিনের মৃত্যুর একদিন পর। জেসমিনকে যখন তুলে নেয়া হয়, তখন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা ছিলো না।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রীর ভাষায়, নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে যখন তুলে নেয়া হয় তখন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ছিল না। ভধ্র মহিলার দুর্ভাগ্য এবং ট্র্যাজেডি যে, তিনি যখন মারা যান তখনও কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ছিল না। মামলা করা হয়েছে তার পরের দিন।
আনিসুল হক বলেন, এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে কিন্তু তাকে ধরা হয়নি। যেখানে দেখছি আমরা এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানে অপব্যবহার বন্ধ করার আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দু-একটা ঘটনায় অপব্যবহার হচ্ছে। ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। যেখানেই অপব্যবহার হচ্ছে, সেখানেই অব্যবহার বন্ধের জন্য যে ব্যবস্থা নেয়ার, সেটি নেয়া হচ্ছে। র্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। প্রসঙ্গত: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-৫ এর হেফাজতে ২৪ মার্চ সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়। তিনি নওগাঁর একটি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের এক অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসক। গতকাল ঢাকার লালমাটিয়াস্থ সংস্থার কার্যালয়ে আহূত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।