অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকি অ্যাপ এবং পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো সব গেম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে রিটটি ফাইল করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের আইজিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মতো অ্যাপ এবং পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলো বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। রিটে উল্লেখ করা হয়,টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িযে পড়ছে। সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপন জায়গায় পুল পার্টির নামে অনৈতিক বিনোদন যৌন কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে। এছছাড়াও সম্প্রতি নারী পাচার ও অর্থ পাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভের মাধ্যমে চলছে। এটি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী। মূল্যবোধ পরিপন্থী।
অন্যদিকে, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলো বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেম যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। বিষয়টি মনিটর করার জন্য এবং সময়ে সময়ে শিশুদের জন্য উপযোগী এবং যথাযথ অনলাইন গেমগুলোকে সুপারিশ করার জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফি ফায়ার গেমস এবং টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভের মত ক্ষতিকারক অ্যাপগুলো অবিলম্বে অপসারণ করা আবশ্যক। একইসঙ্গে এসব বিষয়ে মনিটর করার জন্য এবং শিশুদের উপযোগী যেসব অনলাইন গেম রয়েছে, সেগুলো সুপারিশ করার জন্য একটি একটি মনিটরিং, ইভ্যালুয়েশন এবং সুপারিশ কমিটি গঠন করাও জরুরি। ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, আগামি সপ্তায় কোনো ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।