দুমকিতে স্বামী-সন্তানহারা-একচোখ অন্ধ-স্ট্রোকের রোগী-বৃদ্ধা ফুপুর জমি লিখে নিয়েও দেয়না ভাত-কাপড়!
, দুমকি(পটুয়াখালী) সংবাদদাতাঃ চিকিৎসার কথা বলে স্বামী-সন্তানহারা সোনাবান বিবি’র(৮৫) টিপসই নিয়ে সমুদয় সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন আপন ভাতিঝি হোসনেয়ারা। এছাড়াও অসুস্থ ফুপুকে বিনা চিকিৎসায় রেখে খাবার-দাবার ও ঔষধপত্র না দিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে গেছেন তিনি।
অভিযুক্ত হোসনেয়ারা পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার সন্তোষদী গ্রামের মৃত. মোতাহার ফকির এর মেয়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী-সন্তান হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে বাবা কালু ফকিরের বাড়ি সন্তোষদি গ্রামে চলে আসেন একচোখ অন্ধ সোনাবান বিবি। একসময়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া প্রায় ৬২ শতক জমি প্রতারণা করে লিখে নিয়ে যান তার ভাতিঝি হোসনেয়ারা।
সরেজমিনে গেলে সোনাবান বিবি অস্ফুটস্বরে কান্না জড়িত কন্ঠে এই বাংলাদেশকে যেমন বলছিলেন, ও (হোসনেয়ারা) বোঝলে না, টিপ অইলে খারাপ। নেলে ক্যা, ধরলে ক্যা। বুড়ি এহন করবে কি, খয়রাত করবে? হ্যাও তো পারবে না, হাটতে পারে না। আমনেগো উপরে বিচার থুইলাম, আমনেরা য্যা হরেন।
ওই বাড়ির জহুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হোসনেয়ারা সেই জমি বিক্রি করে স্বামীর বাড়িতে থাকে। ওখান থেকে কিছু টাকা দিলেও সোনাবান মরার আগে দু’মুঠো ভাত খেয়ে মরতে পারতো।
ভরনপোষন যে করতে পারবে তাকে ফুপুর জমি দেব বললেও অভিযুক্ত হোসনেয়ারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
মুরাদিয়া ইউপি সদস্য মোঃ মসিউর রহমান বলেন, আমরা শত চেষ্টা করেও হোসনেয়ারা এর কাছ থেকে খাবার-দাবার বা ঔষধের টাকা পাইনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, সোনাবান বিবি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে লামিয়া নামের এক মেয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে মানবেতর জীবনযাপন করছে। যাতে এ অবস্থায় না থাকে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ স্থানীয় লোকজনের চাপে অভিযুক্ত হোসনেয়ারা চাচাতো ভাই ইব্রাহিম চৌকিদার এর স্ত্রী শাহানাজকে ফুপুর সেবা শুশ্রূষার জন্য ওই জমি থেকে ৫ শতাংশ জমির দলিল দিলেও খাবার-দাবার ও চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা করেননি।