চাটমোহর সংবাদদাতা।।
পাশের জেলা নাটোরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে পাবনা জেলা। সে কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে পাবনার চাটমোহর উপজেলার সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ জারিসহ চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ বলবৎ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করনীয় বিষয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাটোর জেলার সীমান্তবর্তী চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা, হরিপুর ও ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের প্রবেশপথ এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী হান্ডিয়াল ইউনিয়নের প্রবেশ পথে চেকপোস্ট স্থানের নিদ্ধান্ত নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
সভায় বলা হয়, উপজেলায় লকডাউন করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে নাটোর জেলায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাটমোহর উপজেলার মানুষ নিরাপদ নয়। নাটোর জেলার সাথে চাটমোহরের নানাভাবে মানুষের চলাচল রয়েছে। তাই সীমান্তবর্তী ৪টি ইউনিয়নের চেকপোস্ট স্থাপন করে চলাচল সীমিত করার হলো।
একইনসাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম সভায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও দোকানপাটে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ হোটেল রেঁস্তোরা সীমিত আকারে পরিচালনার কথা জানান। তাছাড়া মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আজ শুক্রবার (৪ জুন) থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সৈকত ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন, ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, ডিবিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা, হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, হুনাইগাছা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, পার্শ্বডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন, মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আজিজুল হক, নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুতালিব, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমাদের বড়াল সম্পাদক হেলালুর রহমান জুয়েল, উপজেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির সাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।