ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের গাড়িচালক সম্রাট হোসেন হত্যা মামলার মূল আসামি আব্দুল মমিনকে রাজধানীর বাংলা মোটর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সম্রাট রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের নিকিম কোম্পানির পরিচালকের গাড়ি চালাতেন। পরকীয়ার কারণে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে র্যাব।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে র্যাব-১২ এর হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন আসামি মমিনকে গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন।
মারুফ হোসেন বলেন, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের গাড়ির চালক সম্রাট প্রতিদিন ডিউটি শেষ করে রাতে বাড়ি ফিরতেন। গত ২৩ মার্চ ডিউটি শেষে বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন, ডিউটি শেষ করে সম্রাট রাতে বন্ধু আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরে তারা মমিনের বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে তার স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
সম্রাট ও তার গাড়ি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৫ মার্চ কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট থেকে নিখোঁজ এই গাড়িচালকের বস্তাবন্দি মরদেহ এবং তার জিপ গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সম্রাটের বাবা ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আব্দুল মমিন।
মারুফ হোসেন জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত করে র্যাব ১২ এর একটি দল গত রোববার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ঢাকার বাংলা মোটর থেকে মূল আসামি মমিনকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকেও আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মমিনের স্ত্রীর সঙ্গে তার বন্ধু সম্রাটের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরকীয়ার কারণে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে কীভাবে কোন পরিকল্পনায় সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে, মমিনের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।