ঈদকে সামনে রেখে পাবনার কাজীরহাট এবং মানিকগঞ্জের আরিচা রুটে চলাচলকারী একমাত্র নতুন ফেরী বেগম রোকেয়া ভোলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এখন মাত্র তিনটি লক্কর ঝক্কর মার্কা পুরানো ফেরী দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে এ রুটের গাড়ি ও মানুযজনকে।
পাবনাসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার যোগাযোগের মাধ্যম এই নৌ রুট।আসন্ন ঈদে এই রুটে প্রচন্ড ভির ও যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।এমনিতেই এরুটে সামান্য তিনটি ফেরী দিয়ে সেবা দেয়া হলেও একটি,দুটি ফেরি কম বেশী প্রায়ই বিকল হয়ে থাকে।এতে দুই ঘাটে অপেক্ষামান যানবাহন দুই,তিনদিন পর্যন্ত বসে থাকতে হচ্ছে।অপরদিকে পাশাপাশি অবস্থিত পাটুরিয়া দৌলদিয়া নৌ রুটে পারাপারের জন্য ২১টি ফেরী পরিচালনা করা হচ্ছে।পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকে পাটুরিয়া- দৌলদিয়া নৌরুটে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা ৭০শতাংশ কমে গেছে।ফলে এ রুটের অনেক ফেরীই অলস বসে থাকে।অপরদিকে কাজীরহাট- আরিচা রুটে ফেরীর অভাবে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন।এ অবস্থায় নতুন ফেরী বেগম রোকেয়া ভোলায় স্থানান্তর করা একটি তুঘলকি সিদ্ধান্ত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।উল্লেখ্য পাবনা থেকে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা যেতে ১১০ কিলোমিটার বেশী পথ অতিক্রম করতে হয়।যা ব্যয়বহুল ও সময়ক্ষেপণ অনেক বেশী হয়।তাই আসন্ন ঈদের আগেই বেগম রোকেয়া ফেরীটি অবিলম্বে আরিচা কাজীরহাট রুটে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মীর্জা আজাদ
সিনিয়র সহ-সভাপতি
পাবনা প্রেসক্লাব।।
০৩.০৪.২৪